আমি এক নারী, আমিও জন্মেছি তোমাদের মতোই মাতৃজঠরে, জানতো যখন জন্মেছিলাম,বড়ই আদর পেয়েছিলাম;দেখেছিলাম-আমার দুটো হাত,দুটো পা, দুটো চোখদুটো কান আছে;কিন্তু বিশ্বাস করো আমি তখন চোখে দেখতে পাইনি!হ্যাঁ,হ্যাঁ,হ্যাঁ বিশ্বাস করো!বিশ্বাস করো তোমরাআমি তখনো চোখে দেখতে পাইনি!তবে হ্যাঁ,হ্যাঁ আমি দেখতে পেতামআমার জ্ঞানচক্ষু দিয়ে,কখনোই আমি-ভাবিনি আমার একটা জ্ঞানচক্ষু আছে৷শুয়েছিলাম নিরাপদে মাতৃকোঠরেজানতো আমি অনেকটা পথ অতিক্রমকরে,ক্রমেই বেড়ে উঠেছিলাম৷আমার বয়স তখন সবেমাত্র দেড় কী দু-মাসহ্যাঁ,হ্যাঁ মনে পড়ে সবেমাত্র দু-মাস৷ক্রমেই মায়ের সাথে আলাপচারিতায়-মেতে উঠি, কথা বলি, তোমরাবিশ্বাস করো মাকে আমি দেখতে পাই৷মায়ের প্রতিধ্বনি শুনতে পাই, শুনতে পাই-বিভিন্ন লোকের বিচিত্র সব কর্কশধ্বনি৷হঠাৎ-ই একদিন! আঁধার নেমেআসে-আমার মধ্যে;সে আঁধার নয়কো কোনোঅন্ধকার কিবা দিবানিশীটুকরো টুকরো হয়ে ছিন্ন হয়ে যায়আমার দেহ,হ্যাঁ গো টুকরো টুকরো-হয়ে ছিন্ন হয়ে যার আমার স্বপ্নগুলোআমি বুঝতে পারিনি এই পৃথিবীর গোপন রহস্যএ যেন এক নারী আর এক নারীকে হত্যা করে৷হ্যাঁ আমি সদর্পে বলছি আমি এক নারীযার বক্ষতৃষ্ণা পান করে বেড়ে উঠেছে-হাজার হাজার প্রাণ;হ্যাঁ আমি সেই নারীযার থেকে তুমি জন্মো নিয়েছো,দেখেছোপৃথিবীর আলো;আজ প্রতিবাদের চিতা-জ্বলেছে আমার,তাই আমি সদর্পে বলিআমাকে যারা হত্যা করেছে,আমার ন্যায় তাদের ও জ্ঞানচক্ষু হোক৷