নিজস্ব সংবাদদাতা: আরামবাগ পৌরসভার নতুন বোর্ড গঠন হওয়ার পর থেকেই নয়া পৌর প্রধান সমীর ভান্ডারী বেশকিছু নতুন নিয়ম নীতি প্রণয়ন করেছেন। তিনি নাকি ব্যয় সংকোচন করে আরামবাগের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে চান। তাঁর এই উদ্দেশ্যকে সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষজন সাদরে গ্রহণ করেও ছিলেন। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়ে আরামবাগ পৌরসভার সাধারণ মানুষজনের ঘাড়ে পুরনো করকে একেবারে কয়েক গুণ বেশি বাড়িয়ে দেওয়ায় এই নব গঠিত বোর্ডের প্রতি শুরুতেই আস্থায় ধাক্কা খাচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। এমনিতেই বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ সাধারণ মানুষের হাতেই কাজ নেই। সরকারের ও প্রকৃতির মারে বিপর্যস্ত জনজীবন। এই অবস্থায় আরামবাগ পৌরসভার পক্ষ থেকে কয়েক গুণ বেশি করের বোঝা বাড়িয়ে ঘরে ঘরে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে ফর্দ। যদিও বলা হয়েছে যে কর কমানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করা যাবে। প্রশ্ন উঠেছে, আবেদন করলে কতটা কমবে? আরও প্রশ্ন উঠেছে, আরামবাগ পৌরসভার কোষাগারে যদি অর্থের এতো টানাটানি, তাহলে বর্ষ বরণের নামে জি- বাংলা, বাংলাদেশ এর নামি দামী শিল্পীদের নিয়ে এসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কি খুব জরুরী ছিলো? শিল্পীরা কি ফ্রি তে অনুষ্ঠান করে গেছেন? যে পৌরসভায় একটা নিরাপদে পথ চলার রাস্তা নেই, রাস্তায় দুপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দীর্ঘ দিনের জমে থাকা মাটি কাদার স্তুপ। এয়ার হর্নের দাপটে কান ঝালাপালা, হাঁসফাঁস অবস্থা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশ ছোঁয়া, আরামবাগ বাস স্ট্যান্ড এর ভেতরে বাস চলাচলের উপযোগী রাস্তা নেই, পরিস্কারের অভাবে সমগ্র বাস স্ট্যান্ড বিল্ডিং কালি ঝুলে ঢেকে অপরিচ্ছন্নতার চুড়ান্ত নজির সৃষ্টি করেছে, সেখানে পৌরবাসীদের দেয়া কর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এতো বিনোদনের আবশ্যকতা কিসের? আরামবাগ পৌরসভায় কি শিল্পীর অভাব? “আমরা ওরা “, ” শাসক দল- বিরোধী দল,” ” বিক্ষুব্ধ দল ” এসব না করলে আরামবাগে সঙ্গীত শিল্পী, নৃত্য শিল্পী, আবৃত্তিকার, অভিনেতা, সাংস্কৃতিক সংগঠনের তো অভাব নেই, কিন্তু কথায় আছে, গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না, এলাকায় শিল্পীদের নুন্যতম সম্মান তো দূরের কথা, কিঞ্চিত সাম্মানিকও দেয়ার দায় দেখায়না এই পৌরসভা। দাবি উঠেছে, এই বর্ধিত করের পুনর্বিবেচনা করার এবং অযথা অর্থের অপচয় করে “প্রতিষ্ঠিত” শিল্পীদের নিয়ে এসে বিনোদন মুলক অনুষ্ঠান না করে এলাকায় আশু প্রয়োজনীয় সমস্যাগুলোর অতি দ্রুত সমাধান করার।