Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

নিজস্ব সংবাদদাতা: পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার কিভাবে রেগুলার স্টুডেন্ট হতে পারেন, কিভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের ঝান্ডা ধরতে পারেন এবং শাসকদল তৃনমূলের ছাত্র পরিষদের সভাপতি হতে পারেন তা নিয়ে রীতিমত শোরগোল উঠেছে আরামবাগ মহকুমা জুড়ে। জানা গেছে, আরামবাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে ১ মার্চ, ২০২২ এ নির্বাচিত হয়েছেন। নাম হাসান চৌধুরী, বাড়ি বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর থানার সিহড় পাটপুর। পেশায় কোতুলপুর থানার একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। এই হাসান চৌধুরী কে নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা নিয়ে দলের অন্দরেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী দলের হাতে তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে বিষয়টা। প্রশ্ন উঠেছে, নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদে এমন কোনো যোগ্য ছাত্র কি ছিলেন না যাকে ছাত্র পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া যায়? এছাড়াও একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার তাঁর গুরুত্বপূর্ণ কর্মস্থল ছেড়ে কিভাবে রেগুলার স্টুডেন্ট হতে পারেন? একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার কি কোনো রাজনৈতিক দলের ঝান্ডা ধরতে পারেন? রাজনৈতিক দলের শাখা সংগঠনের সদস্য হতে পারেন? মহকুমা ও জেলা পুলিশি সূত্র কিন্তু বলছে, “না, পারেন না”। তাহলে? তৃণমূলের নীচু তলায় “ক্ষমতার অপব্যাবহার” দলকে প্রায়শই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে ও দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে প্রিন্সিপালের ভূমিকা নিয়েও। তিনি কি ভাবে বিষয়টা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হলেও সমর্থন করেছেন। বিরোধী দলগুলোর অনেকেই ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন নিজেদের দলে এত দৈনতা যে অন্য দল থেকে ভাঙিয়ে নিজেদের দল ভারি করতে হয়, এখন ছাত পরিষদেও যোগ্য কর্মীর বড়ই অভাব তাই বেআইনি জেনেও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে ছাত্র পরিষদ চালাতে হয়।‌ এ বিষয়ে জেলা ও রাজ্য তৃনমূলের ছাত্র পরিষদের এক নেতা জানান তিনি বিষয়টি অবগত নন। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.