পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জেলার সংখ্যা নাকি বাড়তে চলেছে। সংখ্যা টা ৩০ হতেও পারে। তৃণমূল সরকার বর্ধমান জেলাকে দুটুকরো করেছে, শোনা যাচ্ছে আবার এক টুকরো হয়ে বর্ধমান জেলা তিন টুকরো হতে পারে। একই ভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভেঙে আরও একটি জেলা এবং মালদা, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং এই জেলাগুলোকে টুকরো করে জেলার সংখ্যা বাড়ানো হবে। অথচ আরামবাগকে জেলা করার দাবি দীর্ঘ বছরের। হুগলি জেলার সদর চুঁচুড়া যেতে আরামবাগ মহকুমার মানুষজনকে ৮০ থেকে ১০০ কিঃমিঃ কি তারও বেশি যেতে হয়। যাওয়া আসা নিয়ে প্রায় ২৫০ কিঃমিঃ। যোগাযোগ ব্যবস্থাও স্বচ্ছন্দ নয়। অথচ কোর্ট কাছারি থেকে শুরু করে জেলার প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রশাসনের, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের হেড অফিস সবই সদর চুঁচুড়ায় ও তার আশপাশে। সাধারণ মানুষের হয়রানির সীমা থাকে না। অথচ আরামবাগকে জেলায় পরিনত করলে আরামবাগ ও সন্নিহিত এলাকার মানুষজন সব দিক থেকেই উপকৃত হবেন। সময় বাঁচবে, পরিসেবা তরান্বিত হবে। তাছাড়া একটি এলাকাকে জেলায় পরিনত করতে হলে যা যা যোগ্যতা দরকার সবই আরামবাগের আছে। রাজা রামমোহন রায়, শ্রী রামকৃষ্ণদেব, শ্রী শ্রী মা সারদা দেবী, বিদ্যাসাগর ছাড়াও এই আরামবাগ বহু মনীষীর জন্ম ধন্য। এখানে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, বর্তমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ছটি কলেজ, সরকারি বেসরকারি অসংখ্য স্কুল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে, এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পাওয়ার স্টেশন, রবীন্দ্র ভবন সব কিছু আছে। জেলা হলে এই আরামবাগের প্রভুত উন্নয়ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দরকার শুধু সদিচ্ছার। আরামবাগে এসডিও থাকা কালীন অরিন্দম নিয়োগী আশার বাণী শুনিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই আরামবাগ জেলা ঘোষণা করা হবে। এরজন্য সার্কিট হাউস খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব তৈরী করা হবে। তখন সংবাদপত্রের যুগে সেই সংবাদ প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই আরামবাগে খুশীর বাতাবরণ তৈরি হয়। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে তা আজও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। শাসকদল ও বিরোধী দল সকলকে একযোগে এই বিষয়ে রাস্তায় নামতে হবে। সরকারকে নাড়া দিতে হবে। বিশেষতঃ শাসকদলকে এগিয়ে আসতে হবে। নচেত সব কিছু যোগ্যতা থেকেও আরামবাগ যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে যাবে।