দীর্ঘ দিন ধরে কলকাতার বুকে রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গায় রোদে পুড়ে জলে ভিজে, শীতে ঠান্ডায় জমে শিক্ষিত, যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা রিলে অনশন করে, মিছিল করে চলেছেন। একটাই মাত্র দাবি, চাকরি। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, আছেন ক্যানসার আক্রান্ত মহিলা। না, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদয় গলেনি। সমস্ত শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সমর্থন এই দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই।এই রাজ্যে শিক্ষিত যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের মিছিলে, জমায়েতে লাঠিচার্জ হয়, ন্যায় বিবেক ভুলুন্ঠিত হয়, কিন্তু পুড়লে চাকরি জুটে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নাকি কোটা থাকে? সেই কোটা থেকে একাধিক মৃতের পরিবারে চাকরি বিতরণ হয়ে যায়, সঙ্গে বাড়তি টাকাও। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, পড়াশোনা, ভালো রেজাল্ট এসবের প্রয়োজন কি? মুখ্যমন্ত্রীর কোটা থেকে মোট কতবার কতজনকে চাকরি দেওয়া যায়! এখন শোনা যাচ্ছে “কোটা”, কিন্তু এর আগেও দেখা গেছে, ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর পরই সেই পরিবারের কোনো এক সদস্যের চাকরি হয়ে যাচ্ছে। ধর্ষনের স্বীকার হতে হলো মেয়েটিকে, মরতে হলো তাঁকেই। আর চাকরি পেলো সেই বাড়ির কেউ। ধর্ষন হয়ে খুনের সঙ্গে আর একজনের চাকরি প্রাপ্তির সম্পর্ক কি! ভিন রাজ্যে কর্ম সূত্রে গিয়ে কেউ ঘটনা চক্রে খুন হলেন, এই রাজ্যে তার পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়া হলো। তদন্ত, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, না, চটজলদি চাকরি ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। শিক্ষিত যোগ্য পুরুষ কি মহিলাটির চাকরি পাওয়ার জন্য কি তাহলে এমনই কোনো মর্মান্তিক পথ খুঁজতে হবে! এর থেকে দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে!