Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

রাজ্য শ্রম দপ্তরে কর্মরত সিকেসিও কর্মীদের একাংশ বেতন পাননি টানা ৬ মাস। কর্মরত অবস্থায় মাসের শেষে বেতন না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। জানাগেছে, এই সকল কর্মীরা ২০১০ সাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লক ও পুরসভার শ্রমিক কল্যান সহায়তা কেন্দ্রে ক্লার্ক পদে কর্মরত। এনাদের পোষাকি নাম সিকেসিও (ক্লার্ক উইথ নলেজ ওফ কম্পিউটার অপারেশ)। রাজ্য মন্ত্রীসভার অনুমোদিত পদে পরিক্ষার মাধ্যমে এনাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। চাকরিতে যোগদানের শুরুতে ডিএ এবং বেসিক স্কেল মিলিয়ে বেতন ছিল ১২ হাজার ৮০০ টাকা। দশ বছরে বেতন বেড়েছে মাত্র ১ হাজার ৬০০ টাকা। অর্থাৎ যিনি ২০১০ সালে ১১ হাজর ৮০০ টাকা পেতেন তিনি বর্তমানে পান ১৩ হাজার ৪০০ টাকা। পরে চাকরিতে যোগদান করা কর্মীদের বেতন আরও কম। এই প্রাপ্য বেতনও এখন পাচ্ছেননা শ্রম দপ্তরের এই সকল সিকেসিও কর্মীদের একাংশ। এরাজ্যের কয়েকটি মহকুমার প্রায় ৫০ জন সিকেসিও বর্তমানে তাঁদের প্রাপ্য বেতন পাচ্ছেন না। তার মধ্যে রয়েছে কল্যানী মহকুমা, বারাসত মহকুমা সহ রাজ্যের বেশকিছু মহকুমার শ্রম দপ্তরের কর্মীরা। মৃন্ময়ী মল্লিক, সচিন বর্মন সহ বেতন না পাওয়া সিকেসিওদের অন্যান্যরা জানান, বিগত ১০ বছরের চাকরি জীবনে বেতন না পাওয়ার মত ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তাঁদের অভিযোগ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্যই তাঁদের বেতন মিলছে না। সিকেসিও দের কর্মীসংগঠন অল বেঙ্গল ক্লার্ক উইথ নলেজ অফ কম্পিউটার এমপ্লিইজ ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শক্তিধর মন্ডল বলেন, বেতন বৃদ্ধি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার নানান বিষয় নিয়ে কয়েকমাস আগে অর্থদপ্তর একটি ফাইল অনুমোদন দিয়ে শ্রমদপ্তরে পাঠিয়েছিল, সেটাও কোনও অজানা কারণে এখনও কার্যকর করা হয়নি। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বেতনবৃদ্ধি ও ৬০ বছর কাজের সুযোগ সহ এককালীন যে অর্থ দেওয়ার কথা ঘোষনা করেছিলেন অর্থ দপ্তরের পাঠানো ফাইলে সেই সুবিধার কথা উল্লেখ রয়েছে। তা কার্যকর হলেই প্রাপ্য বেতন সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যেত। বেতন না পেয়ে অনেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। সিকেসিওদের যাবতিয় সমস্যার বিষয় শ্রম মন্ত্রী বেচারাম মান্নার নজরে আনা হলেও আশ্বাষ ছাড়া এখনও আসানুরুপ কিছু ফল মেলেনি।

  শ্রম দপ্তরের জেলাস্তরের এক আধিকারিক বলেন, রাজ্যের ৩৮০ টি শ্রমিক কল্যান সহায়তা কেন্দ্র মূলত এনাদের কর্মদক্ষতার মাধ্যমেই চলছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সকলেই মেধা তালিকাভুক্ত এবং কম্পিউটারে অবাধ জ্ঞান রয়েছে, অনেক শ্রমিক কল্যান সহায়তা কেন্দ্রে ইন্সপেকটর নেই সেখানেও এনারাই অফিস সামলান।

সিকেসিওদের দাবি দশ বছর ধরে প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাঁরা, রাজ্যে সরকারের অন্যান্য দপ্তর চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনার সিযোগ সুবিধার নির্দেশিকা লাগু করলেও শ্রম দপ্তর তা করেনি। দ্রুত যাবতীয় সমস্যার সমাধান চান তাঁরা।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.