নিজস্ব সংবাদদাতা : গত ১২ই এপ্রিল খানাকুল নিবাসী রাখি জানার কাছে সকাল বেলা একটি ফোন আসে, ফোনের ওপার থেকে ভেসে আসা স্বরটি তাকে জানায় যে গ্যাসের ভর্তুকি বাবদ গ্যাস অফিস থেকে রাখি দেবীকে ১৬,৪০০ টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু এই রাশি পেতে হলে তাকে আগে নথিভুক্তিকরণ বাবদ একটা অর্থরাশি পাঠাতে হবে এবং তার জন্য তাকে নিকটবর্তী কোন মানি ট্রান্সফারের দোকানে যেতে বলেন। সেই মোতাবেক রাখি দেবী, শাবলসিংহপুর এলাকার আব্দুল কাদের চৌধুরীর এস.বি.আই সি.এস.পি তে যান। এবার ফোনের ওপরে থাকা ব্যক্তিটি আব্দুল কাদের চৌধুরীর সাথে কথা বলার সময় নিজেকে রাখি দেবীর দাদা হিসেবে পরিচয় দেন এবং বলেন তিনি হসপিটালে ভর্তি আছেন এবং তাকে সত্ত্বর ১৬,৪০০ টাকা পেটিএম করতে যা রাখি দেবী ওনাকে ফেরত দিয়ে দেবেন। যথারীতি তিনি সম্পূর্ণ টাকা পেটিএম করে ফেলেন। এরপর তার কাছ থেকে আরও ২২,০০০ টাকা চেয়ে বসেন। এবার দোকানদার সম্পূর্ণ টাকাটি জি-পে করেন। তারপর আরও ৩০,০০০ টাকা চাইলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং রাখি দেবীর সাথে আলোচনা করে বুঝতে পারেন তারা সাইবার ফ্রডের শিকার হয়েছেন। রাখি দেবী তার কষ্টার্জিত উপার্জনের ৩৮,৪০০ টাকা দোকানে দিতে বাধ্য হয় কিন্তু তারা যথারীতি বিষয়টি খানাকুল থানায় জানান। এরপর সাইবার ক্রাইম থানা তদন্তে নামে এবং খুব দ্রুততার সাথে প্রথমে ১৬,৪০০ টাকা এবং পরে ২২,০০০ টাকাও উদ্ধার করা হয়। আজ এস.ডি.পি.ও আরামবাগের অফিসে উদ্ধার হওয়া সম্পূর্ণ টাকা আব্দুল কাদের চৌধুরীর হাত দিয়ে রাখি দেবীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।