অবশেষে বিভিন্ন স্তর থেকে আন্দোলনের জেরে তৃনমূল সরকারের বোধোদয় এবং স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের ভাগ্যে স্কুলের শিকে ছেঁড়েনি। তারা “এ স্কুল কি জিনিষ, পড়াশুনা কাকে বলে!!” এই অবস্থায় মোবাইলে কার্টুন,গেম খেলার মধ্যেই অনেকে ডুবে আছে, দুঃস্থ পরিবারের শিশুরা যাদের মোবাইল কেনার ক্ষমতাই নেই তারা প্রায় তিন বছর কাগজ কলম থেকে দূরে থাকায় তাদের অবস্থা আরও বিপন্ন। এ তো গেল একটা দিক, অন্য দিকে নতুন করে আর এক যন্ত্রনা শুরু হতে যাচ্ছে। স্কুলে এমনিতেই ছাত্র ছাত্রী অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা নগণ্য, সেখানে স্কুল এবং পাড়ায় পাড়ায় স্কুল দুটো দিক কিভাবে সামলানো হবে!! পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের পাড়ায় পাড়ায় স্কুলে গিয়ে পড়তে হবে, শিক্ষকদের একবার স্কুলের ক্লাশরুম, একবার পাড়ায় পাড়ায় স্কুলে গিয়ে পড়াতে হলে পড়াশুনার দফা রফা হবে না তো? এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই কিন্তু উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই জানতে চেয়েছেন রাজ্য সরকার শিক্ষাকে নিয়ে কেন বালখিল্য করে যাচ্ছে। এমনিতেই প্রশিক্ষণ নেওয়া শিক্ষিত যুবক যুবতীরা চাকরি চেয়ে পথে পথে আন্দোলনে, চাকরি পাচ্ছেন না। এখন পাড়ায় পাড়ায় স্কুলে পড়াবেন কারা? ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে ছহাজার করে যাদের পাঁচ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে,তারা পড়াবেন! তাহলে যারা বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে প্রশিক্ষণ নিলেন তাদের প্রতি সরকার ইতিবাচক ভূমিকা নিচ্ছে না কেন? এক জবড়জঙ্গল পরিস্থিতি চলছে রাজ্য জুড়ে। দিকে দিকে চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায়। সমস্ত দপ্তরে প্রচুর শুন্য পদ। কোনো নিয়োগ নেই। চলছে সিভিক প্রক্রিয়া। পাড়ায় পাড়ায় স্কুল আর এক যন্ত্রনার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।