নতুন একটি পত্রিকা ‘এবং আমোদর ‘
সাহিত্যক্ষেত্রে যাত্রা শুরু করলো। পত্রিকার নামকরণের পিছনে আছে প্রায়
মজে যাওয়া একটি ছোট্টো নদ — আমোদর।বাঁকুড়ার জয়পুরের ঢোলসমুদ্র বা
সমুদ্রবাঁধ থেকে উৎপন্ন হয়ে হুগলির গোঘাটে দলকার জলায় মিশেছে আমোদর।পথে
সে ছুঁয়ে গ্যাছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন গ্রাম।তার মধ্যে এসেছে
বঙ্কিমচন্দ্রের দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাসের ঐতিহাসিক পটভূম গড় মান্দারণ।
আমোদর নদ বহুমানুষের স্বপ্নের ধারা।আজ তা প্রায় মজে যাওয়ায় ঐতিহ্য এবং
পরিবেশের সমূহ ক্ষতি।সেই সম্পদের কথা ভেবেই পত্রিকার নাম ‘এবং
আমোদর’,স্বাগত ভাষণে বললেন সম্পাদক কবি গুরুদাস দাস।তাঁরা চান আমোদর নদ ও
পত্রিকা বেঁচে থাক।যুগ্ম সম্পাদক : সাহিত্যিক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও
কাশীনাথ মালিক। পত্রিকার প্রকাশক নিতাই মণ্ডল।
এদিনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় কামারপুকুর সিবিএসই স্কুলের হলঘরে। পত্রিকা
প্রকাশ ও সাহিত্যসভার সভাপতি ছিলেন কবি দুর্গা মণ্ডল,প্রধান অতিথি কবি
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন কবি সাধন বারিক,মদন
সরকার,জয়দেব সাঁতরা,সুনীল চক্রবর্তী, নবকুমার শীল ও সুবোধ চন্দ্র ধবল।বরণ
পর্বের পর সভার কাজ শুরু হয়।কামারপুকুর মানে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের
পূতভূমি।ঠাকুর,মা সারদা ও স্বামীজির প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করেন
সভাপতি সহ বিশিষ্টজনেরা।মোমবাতি জ্বেলে সভার সূচনা করেন প্রধান
অতিথি।পত্রিকা প্রকাশের প্রেক্ষিত বর্ণনা করেন সম্পাদক গুরুদাস
দাস।সভাপতি দুর্গাবাবু পত্রিকার প্রারম্ভিক সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করে তা
তুলে দেন প্রধান অতিথি জয়ন্তবাবুর হাতে।সঙ্গে থাকেন সম্পাদক সহ
অতিথিবৃন্দ।সবাই সানন্দ হাততালিতে শামিল হন।
এরপর শুরু হয় সাহিত্য সম্মেলন।উল্লেখ করা যেতেই পারে আশিজনের বেশি
সুশৃঙ্খল শান্ত মনোযোগী কবি ও কবিতাপ্রেমী গুণীজন, যাঁদের অনেকেই
অধ্যাপক,গবেষক ও শিক্ষক, কবিতাপাঠে অংশ নেন।গুঞ্জনহীন কবিতার শ্রোতা আসলে
এক বিরল অভিজ্ঞতা।অতিথিগণের সঙ্গে কবিতাপাঠে অংশ নেন স্বামী
সুদয়ানন্দ,মোনালিসা নায়ক,শারদীয়া মণ্ডল ঘোষ,মল্লিকা দে চক্রবর্তী, চায়না
খাতুন,উত্তম দত্ত,তপনকান্তি মুখার্জি, রূপা পাল,গৌতম চক্রবর্তী,দেবব্রত
রায়,বলরাম কুণ্ডু,প্রবীর নন্দী,দেবপ্রিয় দে,অনির্বাণ চৌধুরী,অসীম মালিক,
তড়িৎকুমার অধিকারী,শ্যামসুন্দর মালিক,অভিজিৎ মাজী, অমল মালিক,সুজিত রায়,
প্রবীর সেন প্রমুখ কবি। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সহযোগিতা করেন বিদ্যালয়ের
অধ্যক্ষ দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষক আবু হোসেন ও শিক্ষাকর্মীরা।
