Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

নিজস্ব সংবাদদাতা : মদ খাও রাজস্ব বাড়াও। সরকার মদের এবং মদ্যপায়ীদের উন্নয়নে সজাগ থাকার কারণে হাতেনাতে ফল দেখতে পেলো রাজ্যবাসী। রাজ্যের আবগারি দফতরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য যে ১২ হাজার কোটি টাকা ছিলো তা ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই লক্ষ্য মাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে। আবগারি দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ আর্থিক বছরের শেষে লক্ষ্যমাত্রার থেকে অনেকটাই বেশি আয় হবে বলে তারা আশাবাদী।
আবগারি দফতরের কর্তাদের দাবি, গত পাঁচ বছর ধরেই আবগারি দফতরের উপরে রাজ্যের কোষাগারের আর্থিক সুরক্ষায় ভরসা বেড়েছে। এখন প্রতি বছরই বেড়ে চলেছে আয়। প্রতি বারই লক্ষ্য মাত্রা ছাপিয়ে আয় বাড়ার উৎস কী সে বিষয়ে আবগারি দফতরের এক শীর্ষকর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যে বেআইনি চোলাই মদ বিক্রি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমানো গিয়েছে। ফলে সরকারি ভাবে বৈধ মদ বিক্রির তে প্রভাব পড়ছে।একই সঙ্গে আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি সরকারের তরফে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ায় সার্বিক ভাবে মদ বিক্রি বেড়েছে। অনলাইনে মদ বিক্রিও রাজস্ব আদায়ে বড় ভূমিকা নিয়েছে। অনলাইনে নথিভুক্ত ক্রেতার সংখ্যা এখন নাকি প্রায় দেড় লাখ। জানা গেছে, সস্তায় দেশি মদের অনেকগুলি ব্র্যান্ড সম্প্রতি চালু হয়েছে এ রাজ্যে। ৩০০ মিলিলিটার মদের দাম মাত্র ২৩ টাকা করা হয়েছে। এর ফলে, মদ্যপায়ীরা সস্তায় বৈধ দেশি মদ পেয়ে চোলাই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। রাজ্যের কোষাগারেও টাকা আসছে।
মদের বিক্রি বাড়াতে ডিস্ট্রিবিউশন চেনকে আরও মজবুত করা যায় কিভাবে সে বিষয়েও চিন্তা ভাবনা করছে আবগারি দফতর।
রাজ্যের কোষাগার পরিপুষ্ট হচ্ছে মদ বিক্রি থেকে, পাশাপাশি মদকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটছে, পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে, নুন্যতম আয়ের টাকাও চলে যাচ্ছে মদের দোকানে। বাড়ছে অভাব, সেই সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতা। শুধু মাত্র কোষাগার পরিপুষ্ট করতে গিয়ে সরকার সামাজিক পরিবেশ দূষনের কারন হয়ে উঠবেনা তো, সে নিয়েও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.