নিজস্ব সংবাদদাতা: শ্রীরামপুর থানার অন্তর্গত শ্রীরামপুর পৌরসভার 29 নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত সুভাষ নগর হাউজিং কমপ্লেক্সে তিনটি বিল্ডিংয়ের চারটি ফ্ল্যাটে রহস্যজনক ভাবে তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকা চুরি করে পালালো চোরেরা। খবর পেয়ে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। পুলিশ ফ্ল্যাটের বাইরে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা সংগৃহীত ফুটেজগুলিও পরীক্ষা করে যাতে চোরদের সনাক্ত করা যায়। এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হাউজিং কমপ্লেক্সের বাসিন্দারা। অভিযোগ, ফ্ল্যাটের বাড়ির মালিকরা তাদের পুরো পরিবার নিয়ে কোনও কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। একই ফ্ল্যাটে চিহ্নিত করে চুরির ঘটনা ঘটানো হয়। ফ্ল্যাটের তালা ভেঙ্গে ঘরে রাখা লোহার আলমারির তালা ভেঙ্গে তাতে রাখা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় চোরেরা। সকাল থেকে দুপুর আড়াইটার মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভবনটি B05, B-07 এবং C-1 বিল্ডিংয়ের চারটি পৃথক ফ্ল্যাটে হয়েছিল। সি-1-এ বসবাসকারী প্রভা মেহতা নামে এক বৃদ্ধ মহিলা জানান, তিনি 23 বছর ধরে বসবাস করছেন। এমন ধৃষ্টতা আগে কখনো দেখা যায়নি। একের পর এক ফ্ল্যাটে পরিকল্পিতভাবে ডাকাতি হয়। মিসেস মেহতার কথা যদি বিশ্বাস করা হয়, চুরিটি হয়েছে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে, তালা ভাঙার শব্দ কেউ শুনতে পায়নি। যাদের চুরি হয়েছে তাদের মধ্যে একজন রঞ্জিত কুমার আর্য জানান, তিনি তার পুরো পরিবার নিয়ে সল্টলেকে তার আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন, সকালে তিনি খবর পান তার ফ্ল্যাটের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা নিয়ে পালিয়েছে চোরেরা। মনে হচ্ছে কেউ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চোরদের তথ্য দিয়েছে। এমন একজন তথ্যদাতা আমাদের সবার মাঝেই থাকতেন এবং ফ্ল্যাটের বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতির তথ্য চোরদের কাছে শেয়ার করেছিলেন, তারপরে একের পর এক পরিকল্পিতভাবে চুরির ঘটনা ঘটে। এই কমপ্লেক্সে মোট ২৮টি ভবন রয়েছে, একটি ভবনে ২৪ থেকে ২৮টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এখানে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে নিরাপত্তা প্রহরী থাকার পরও এ চুরির ঘটনায় কমপ্লেক্স ও আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের দাবি, পুলিশ যত দ্রুত সম্ভব দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে প্রকৃত
চোরদের খুঁজে বের করুন। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের উত্তরপাড়া থানার রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি হাউজিং কমপ্লেক্সে একই রকম চুরির ঘটনা ঘটেছে এক পাক্ষিকও না। রবিবার রিষড়া স্টেশন সংলগ্ন চার নম্বর রেলগেট সংলগ্ন হাউজিং কমপ্লেক্সে চুরির ঘটনা প্রসঙ্গে ওই ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
