নিজস্ব সংবাদদাতা: ত্রিকোণ প্রেমের জেরে গত বছরে দূর্গা পূজার সময় ১১ই অক্টোবর চুঁচুড়া শহরের জনবহুল এলাকা রায়ের-বেড় থেকে ২৩ বছরের নিরীহ এক যুবক বিষ্ণু মালকে তাঁরই বাড়ির সামনে থেকে মোটর-বাইকে করে তুলে নিয়ে যায় হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস ও তাঁর সাগরেদরা। সেই রাত্রেই চাঁপদানি এলাকায় একটি বাড়িতে তুলে নিয়ে আসা বিষ্ণুকে নাকি নৃশংসভাবে হত্যা করে বিশাল। এবং তাঁর দেহকে ৬ টুকরো করা হয়।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকা সকল অপরাধীকে পরবর্তী কালে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় বিশাল সহ এই নৃশংস হত্যাকান্ডে যুক্ত থাকা সকল দুষ্কৃতিই তাঁদের এই দুষ্কর্ম্মের কথা স্বীকার করে এবং বিষ্ণু র দেহের খন্ডিত অংশ কোথায় কোথায় আছে তাঁর সন্ধান দেয়। পুলিশ বিষ্ণুর সেই খন্ডিত দেহাংশের সকল অঙ্গ উদ্ধার করলেও, বিশাল কে না ধরা অব্দি তাঁর কাটা মুন্ডু বা মাথার সন্ধান পায়নি। ক্যানিং এর জীবনতলা থানা থেকে “বিশাল ধরা পড়লে তাকে নিয়ে আসা হয় চুঁচুড়া থানায় এবং এখানেই সে সন্ধান দেয় বিষ্ণু র কাটা মাথা কোথায় পোঁতা আছে, তারপর ভদ্রেশ্বরে খালের ধার থেকে প্লাস্টিকে মোড়ানো অবস্থায় বিষ্ণু র কাটা মাথা উদ্ধার করে চুঁচুড়া পুলিশ।
চুঁচুড়া শহরের সর্ব স্তরের মানুষই এই নারকীয় হত্যার নিন্দা জানিয়ে আসছে প্রথম দিন থেকেই।
যতবারই দুষ্কৃতি বিশাল দাস ও তাঁর সাগরেদদের জেলা আদালতে তোলা হয় ততবারই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়, সকলেই এই নারকীয় হত্যার দোষী ব্যক্তি দের ফাঁসির দাবী জানায়।
আজও “বিষ্ণু মাল হত্যাকান্ড” মামলার প্রথম সাক্ষিদান। তাই সকাল সকালই হুগলি জেলা আদালতের সামনে, এই হত্যায় যুক্ত থাকা অপরাধী ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবীতে পোস্টার হাতে জড়ো হয় কামারপাড়া সহ চুঁচুড়া শহরের একাধিক পুরুষ ও মহিলা। তাঁরা পোষ্টার, ফেষ্টুন হাতে নিয়ে কালো ফিতে মাথায় বেঁধে মানববন্ধন তৈরী করে এই নারকীয় হত্যার মৌন প্রতিবাদ জানায় এবং আদালতের কাছে সঠিক বিচার চায়।
