Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

নিজস্ব সংবাদদাতা: আরামবাগ মহকুমায় এখনও খানাকুলের বহু এলাকা জলের তলায়। আরামবাগে জল নেমে গেলেও এই মুহূর্তে বন্যা কবলিত এলাকায় ভয়ঙ্কর দুর্দশাগ্রস্ত মানুষজন হয় ত্রান শিবিরে অথবা রাস্তায়। গোঘাটের বালি, কুমুড়সা, ভাদুর, গোঘাট, কামারপুকুর , কুমারগঞ্জ অঞ্চল ইত্যাদি এলাকার বহু জায়গা বন্যা বিদ্ধস্ত অবস্থা, খানাকুলের অবস্থা নতুন করে বলার নেই। পুড়শুড়া ব্লকে নদী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা বন্যাকবলিত। সেই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জেরে বহ মানুষ জীবন যন্ত্রনায় ভুগছেন। এরকম অবস্থায় শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়করা লোকাল স্তরের দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালেও এই চার বিধানসভা এলাকার জয়ী বিধায়ক দের দেখা না মেলায় ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন এলাকার মানুষজন। পুড়শুড়ায় কদাচিৎ দেখা গেছে বিধায়ক বিমান ঘোষকে, খানাকুলে বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ নাকি অনেক কিছুই করতে চান কিন্তু ব্লক থেকে জেলা প্রশাসন সবাইকে বারবার জানানো স্বত্বেও তাঁরা কোনো উত্তর পর্যন্ত না দেওয়ায় তিনি হাত বাড়িয়ে দিলেও প্রশাসনের অসহোযোগিতায় বন্যাকবলিত এলাকায় মানুষজন বঞ্চিত হচ্ছেন। গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারকের বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করছেন গোঘাট বিধানসভা শুধু পাওয়া অঞ্চলকে নিয়ে নয়। উনি সাওড়া ছাড়া আর যদি কিছুটা এগিয়ে যান সেটা বালি পঞ্চায়েতের কিছু এলাকা।আর আরামবাগের বিধায়ক মধুসূদন বাগের সম্বন্ধে মানুষের অভিযোগ কম দুশ্চিন্তা বেশি। অনেকেরই সন্দেহ, উনি হয় মিসিং হয়ে গেছেন, অথবা বন্যায় ভেসে গেছেন। কারন হিসেবে অনেকেই জানাচ্ছেন, এতবড়ো বন্যা হয়ে গেল, কত মানুষের কত ক্ষতি অথচ একজন বিধায়ক তাঁর দেখাটুকুও পাওয়া যাবে না! আরামবাগ মহকুমার চার বিধায়কের বিরুদ্ধে ই মানুষের ক্ষোভ, যাঁদের নির্বাচিত করেছেন মানুষ, বিধায়ক হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা কিভাবে সেই এলাকাকে ভুলে যান। শাসকদল ও প্রশাসনের আধিকারিকরা যদি সত্যিই তাঁদের কাজ করতে না দেন, তাঁরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে আর্ত মানুষদের কাছে যান, অভাব অভিযোগ শুনুন, সাধ্যমতো চেষ্টা করুন পাশে থাকতে। বাধা পেলে মানুষ তার সাক্ষী থাকবেন। কিন্তু কাউকে বিধায়ক নির্বাচিত করার পর তিনি মাসান্তে বিপুল অঙ্কের ভাতা, হাজার কিসিমের ফ্রি সুবিধা ভোগ করবেন, আর নিজের এলাকার মানুষজন আঁটির মতো গড়াগড়ি যাবেন এটা কেন হবে। নুন্যতম মানবিকতা থাকবে না? বিধায়ক হওয়ার আগে মানুষের কাছে ভুরিভুরি প্রতিশ্রুতি দেওয়া সবই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছিল? প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে শাসকদল কি দোষ করল। তাঁরা কাজ করেন নি বলেই তাঁদের পরাজিত করে নতুন দল থেকে বিধায়ক নির্বাচিত করা হলো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়। শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়ক থেকে শুরু করে নেতা কর্মীদের এত যে তৎপরতা সেখানে রাজনৈতিক স্বার্থ নেই তা নয়, বিনা স্বার্থে কেউ কিছু করছেন এটা অতি বড়ো আহাম্মকও বুঝতে পারেন,‌ তাহলে এই বিধায়করাও তা করতে পারতেন। বিপক্ষের তরফে বাধা পেলে মানুষ তার সাক্ষী থাকতেন। পারতেন না একটু পাশে দাঁড়িয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করতে পারতেন। অদ্ভুত বিষয়, গোঘাট, পুড়শুড়া, খানাকুলে যদিওবা সেখানকার বিধায়কদের কিঞ্চিত দেখা মিললেও আরামবাগের বিধায়ক মধুসূদন বাগকে প্রকৃত বিপদের সময় দেখাও মেলেনি। ত্রান তো দূরের কথা। ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই বলছেন টক আর তেঁতুল একাকার। মাঝথেকে বিজেপি করার অপরাধে তৃনমূলের বিষনজরে পড়ে ত্রান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সব দিক থেকে বঞ্চিত হতে হতে পুঞ্জিভূত হয়ে তুষের আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকবে না সে দায় কি চার বিধায়ক নেবেন, না তাদের দল নেবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.