Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

নিজস্ব সংবাদদাতা: আরামবাগ পৌরসভার পৌর প্রশাসক স্বপন নন্দী যে কোনো সভায়, মঞ্চে গেলেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরামবাগ পৌরসভায় নাকি উন্নয়নের বন্যা বইছে। এই পৌরসভার কয়েকটি সীমানা দিয়ে শুরু করা যাক। তারকেশ্বরের দিক থেকে আসতে পারুল পার হলেই এই পৌরসভার শুরু। নদী পার হয়ে কালিপুর ১২ ও ১৮ নং ওয়ার্ড পৌরসভার দুটি সীমান্ত, অন্যদিকে দৌলতপুর, চাঁদুর ভাটার মোড় হয়ে নৈসরায় এ সীমানা সব টাই বর্ধমান রোড এ। হাসপাতাল রোড হয়ে রেল স্টেশন রোড, বসন্তপুর মোড় থেকে রেল ক্রসিং পার হয়ে বলুন্ডি রোড, ২৪ নং রোডের দিকে বৃন্দাবনপুর যেদিকে যাবেন একটু অসতর্ক হলেই দগদগে ঘা এর মতো রাস্তা জুড়ে থাকা অসংখ্য গর্তের যেকোনোটিতে পড়ে গুরুতর জখম হতে পারেন, উল্টো দিক থেকে আসা গাড়িতে চাপা পড়ারও সম্ভাবনা আছে। বর্ষায় এই ছোটো বড়ো গর্ত জলে ডুবে আরও বিপদজনক। প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। না, প্রশাসনের কোনো স্তরেই কোনো হুঁস নেই, দায়বদ্ধতা নেই। অথচ উন্নয়নের ঢক্কানিনাদ! উন্নয়নের প্রধান শর্ত রাস্তা। অথচ আরামবাগ পৌরসভায় এমন একটি রাস্তা নেই, যেখান দিয়ে নিরাপদে ‌পার হওয়া যায়। পল্লিশ্রী থেকে কালিপুর যেতে দ্বারকেশ্বর নদের উপর রামকৃষ্ণ সেতুর দুদিকের মুখে বারবার ভয়ঙ্কর গর্ত সৃষ্টি হলেও সংস্কারে ঢিলেমি সেতু পারাপারে বিপদজনক হয়ে ওঠে। সম্প্রতি পি ডাব্লু ডি রোডস এর পক্ষ থেকে কাজ শুরু করার উদ্যোগ নিতেই সদ্য আরামবাগ পৌরসভার পৌর প্রশাসক মন্ডলির সদস্য নির্বাচিত হয়ে এক ব্যবসায়ী অচিন্ত্য কুমার কুন্ডু কালিপুরের দিকে কিছু ভাঙ্গা ইঁট ফেলে দেন। উল্টো দিকে পল্লিশ্রীর দিক সেতুর কাজ পি ডাব্লু ডি রোডস এর পক্ষ থেকে এক ঠিকাদার করাতে এলে উক্ত অচিন্ত্য কুমার কুন্ডু তাকে জানিয়ে দেন সপ্তাখানেক তাদের কাজ বন্ধ করতে। কারন তিনি ইঁট ফেলেছেন। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, এখানে গর্ত বুজিয়ে তিনি নাকি ভালো কাজ করছেন। প্রশ্ন উঠেছে, রেল ব্রীজের নিচে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। লিঙ্ক রোড , গৌরহাটি মোড়ে, বসন্তপুর রোড, রেল স্টেশন রোড যেতে তো গুনে শেষ করা যাবে না এত বিপদজনক গর্ত, এ সব ক্ষেত্রে তিনি কেন চুপ! কেনো ইঁট ফেলছেন না? পৌর প্রশাসক স্বপন নন্দী তো রামকৃষ্ণ সেতুর কাজে তাঁর প্রশাসক মন্ডলির সদস্য বাধা দেওয়ায় বিতর্ক চাপা দিতে নিজেই চলে গেছিলেন, তাঁর বাড়ির অনতিদুরেই রাস্তার বেহাল অবস্থা, এক্ষেত্রে তিনি নিশ্চুপ কেন? আরামবাগ বাস স্ট্যান্ড থেকে পল্লিশ্রী পর্যন্ত রাস্তায় অটো, টোটোয় যাতায়াত করতে দমবন্ধ অবস্থা হয় এমনই বেহাল দশা।আর তিনি উন্নয়নের হাস্যকর গল্প শুনিয়ে চলেছেন। অনেকেরই ক্ষোভ, এই পৌর প্রশাসক মন্ডলির অন্যতম সদস্য ডাঃ অতনু কুন্ডু তিনি নিজে একজন সুচিকিৎসক তাই নন, একজন সুস্থ সংস্কৃতির মানুষ বলেও পরিচিত। তিনি কিভাবে এসব দেখেও উদাসীন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.