সুশান্ত দাস: পুজো মরসুম এলেই কুমোরটুলি গুলোতে চরম ব্যাস্ততার ছবি ভেসে ওঠে। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে মৃৎশিল্পিরা নাওয়া খাওয়া ভুলে সাবেকি প্রতিমা আর থিমের প্রতিমা সৃষ্টির নেশায় বিভোর থাকতেন। উপযুক্ত মুল্যও পেতেন। আজ তার অতীত। করোনা মহামারীর কবলে পড়ে সব কিছু কেমন যেন ওলোটপালট হয়ে গেছে। পুজো কমিটিগুলোও সেভাবে আর থিমের প্রতিমার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন না, কারন, করোনা বিধি নিষেধ। সার্বিক ভাবে ব্যবসাতেও মন্দা চলছে। ফলে চাঁদা আদায়ও সে অর্থে আহামরি কিছু হয়না। আর পুজো কমিটিগুলো উৎসাহিত না হলে কুমোরটুলি গুলোতে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। প্রতিমার অর্ডার অনেকটাই কমে গেছে, প্রতিমার সাইজ ছোট হয়ে গেছে, দামও আর তেমন নেই। স্বাভাবিকভাবে মৃৎশিল্পীদের মন ভালো নেই। করোনা আর করোনা বিধি অনেককিছুই শেষ করে দিয়েছে। এর সঙ্গে আবার সাপ্তাহিক নিম্নচাপের প্রভাবে মৃৎশিল্পীদের মাথায় হাত। প্রতিমা শুকানোর ভয়ঙ্কর সমস্যা।
আরামবাগ থানার পারুলে মৃৎশিল্পীদের পাড়ায় প্রকৃতির আর করোনা বিধির মারে মৃৎশিল্পের করুন দশার এক ঝলক ক্যামেরা বন্দি করে নিয়ে এসেছেন আরামবাগ টাইমস্ এর প্রতিনিধি সুশান্ত দাস।
