রিন্টু পাঁজা, বীরভূম: ২০১৯ সালে রাজ্যের সেরা বিদ্যালয় নির্বাচিত হয় বীরভূম জেলা স্কুল। কলকাতায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পুরস্কৃত হন বীরভূম জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন সাহা। ফের সেই প্রধান শিক্ষকের মুকুটে আরো একটি পালক যোগ হলো। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেতে চলেছেন বীরভূম জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র চন্দন সাহা। ইতি মধ্যেই রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর থেকে এই বিষয়ে তাকে মেইল মারফত জানানো হয়েছে। করোনার কারণে আগামী ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিনে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত বসুর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে পুরস্কার তুলে দেবেন বীরভূম জেলাশাসক।
চন্দন বাবু কর্মজীবন শুরু ২০০০ সালে, প্রথম তিনি শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার টাকি গভর্মেন্ট হাই স্কুলে, এরপরে ২০০৩ সালে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে যোগদান করেন। তারপর ২০০৭ সালে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন বীরভূম জেলা স্কুলে। ২০১৭ সালে তিনি বীরভূম জেলা স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। প্রতিবছর রাজ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে মেধাতালিকায় নাম থাকে এই স্কুলের ছাত্রদের। ২০১৭ সালে বীরভূম জেলা স্কুলে চন্দন বাবু প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালনের পরও সেই ধারা অক্ষুণ্ণ রেখেছেন তিনি। যা এক কথায় বলা যেতেই পারে সাফল্যের মুখ উদ্ধোমুখি এই স্কুলের। চন্দন বাবু পড়াশোনা শুরু করেন বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত আমগড়িয়া গোপালপুর স্কুলে এরপরে বীরভূমের সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক তারপরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। চন্দন বাবু জানান ” আমি গর্বিত, সম্মানিত বোধ করছি। আমার শিক্ষকতা জীবনের সাফল্যের স্বীকৃতি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পাচ্ছি তার জন্য আমি খুবই আনন্দিত। এর আগেও রাজ্য সরকার থেকে পুরস্কার পেয়েছি ২০১৯ সালে রাজ্যের সেরা বিদ্যালয় হিসাবে, তখনও ভীষন রকম সম্মানিত হয়েছিলাম। তিনি ছাত্র দের উদ্দ্যেশে এও জানান ” আমরা এখানে মেধার চর্চা করি মেধার সঙ্গে নীতিবোধ, নীতিশিক্ষাও আমরা ছাত্রদের ভিতরে ঢোকাতে চাই। যে সামাজিক অবক্ষয় চলছে এই অবক্ষয় রোধ টা আগামী প্রজন্মই করতে পারে। আরো জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোথাও যেন একটু অন্যের জন্য কাজ করা, সমাজের জন্য কাজ করা, দেশের জন্য কাজ করা এই মূল্যবোধগুলো অনেক কমে যাচ্ছে, সেই শিক্ষার চেষ্টা আমি আমার স্কুলে জারি রেখেছি এবং এই প্রভাব টা সমস্ত জায়গায় পড়ুক”।
