Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

নিজস্ব সংবাদদাতা: বেশ কিছু দিন ধরেই যেকোনো অজুহাতে গোঘাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পালকে হেনস্থার অভিযোগ উঠছিল তৃনমূলের একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল হেনস্থাকারি তৃণমূল কর্মীরা সকলেই এই পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা এলাকায় তৃনমূলের ব্লক সভাপতি এবং প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদারের অনুগামী নারায়ন পাঁজার গোষ্ঠী। অতি সম্প্রতি বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পালকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে যুব নেতা জাহাঙ্গীর বাদশাকে বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল স্থানীয় কর্মতীর্থর ভেতরে। সেখানেও প্রধান উদ্যোক্তা ও নেতৃত্বে ছিলেন নারায়ন পাঁজা। জাহাঙ্গীর বাদশা সেবার এই প্রতিবেদককে বলেন, দল কেন তাকে শিখন্ডি করছে তিনি জানেন না। কাউকে এভাবে সরিয়ে তাকে বসানোর সিদ্ধান্ত তিনি সমর্থন করেন না। কিন্তু দল বললে হয়তো তার ‌ বিরোধিতা করাও সম্ভব হবে না। এর পরই গতকাল গোঘাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল ও দুই মহিলা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামলী ঘোষ‌‌‌ এবং ময়না বাগকে যেভাবে চেয়ার থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মারতে মারতে মহিলা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামলী ঘোষ‌‌‌ এবং ময়না বাগকে চুলের মুঠি ধরে চড় মেরে গেটের বাইরে বের করে দেয় তৃনমূলের একাংশ তাতে সমগ্র গোঘাট জুড়ে ধিক্কার উঠেছে। খোদ বিডিও নাকি তখন অফিসে থাকা সত্ত্বেও এবং প্রচুর পুলিশ উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তিনি পুলিশকে একশন নিতে বলেন নি —‌ এই অভিযোগ আক্রান্ত তিন জনেরই। একই সঙ্গে তাঁরা জানান, এই সমস্ত ঘটনার পিছনে হাত আছে প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদারের। তিনি নিজে কামারপুকুরে বসে থেকে নারায়ন পাঁজা কে থানায় বসিয়ে রেখে তৃণমূল নেতা কাজল রায়, শ্রীমন্ত রায়, সঞ্জয় খান, ভাদু, শ্রীকান্ত চ্যাটার্জী সহ শতাধিক কর্মীদের দিয়ে এই ঘৃন্যতম কাজ করিয়েছেন। কান্নায় ভেংগে পড়ে শ্যামলী ঘোষ‌‌‌ বলেন, ৯৮ সাল থেকে তৃণমূল দলটা করে এটা তার পুরস্কার। মানস মজুমদারের হাত ধরে তিনি দলটা করেন নি। তিনি দাবি করেন, হিম্মত থাকে মানস মজুমদার তার মুখোমুখি হোক। আজ মানস মজুমদার, নারায়ন পাঁজা দের কৃতকর্মের জন্য দল হেরেছে। তিনি বলেন, নিজের দলের মধ্যে মেয়েদের সম্মান নেই, নিরাপত্তা নেই, এদিন যা হয়েছে এরপর তিনিও ছাড়বেন না, শেষ পর্যন্ত লড়বেন।
মনোরঞ্জন পাল জানান, তিনি দলের প্রায় প্রত্যেক কর্মসূচিতে অংশ নেন। প্রত্যেকটির ছবি প্রমান করবে। তিনি বলেন, কুলিয়ায় তাঁর সঙ্গে ত্রান নিয়ে গেছিলেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এটা দল ভালো চোখে নেয়নি। নারায়ন পাঁজা গোষ্ঠীরা চায়না এমপি অপরূপা পোদ্দার গোঘাটে আসুন। কিন্তু প্রশ্ন, এমপি অপরূপা পোদ্দারের লোকসভা এরিয়ার বাইরে নাকি গোঘাট? কুলিয়ার মানুষেরা সঠিক ভাবে ত্রান পাননি, এমপি অপরূপা পোদ্দার ত্রান নিয়ে গেছিলেন, এতে অন্যায় কি?
নারায়ন পাঁজা জানান, তিনি এসবের বিন্দুমাত্র জানেন না। সাধারণ মানুষজন হয়তো ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু করতে পারে।
প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার জানান, এই ধরনের মারধোরের ঘটনা তিনি সমর্থন করেন না।
আর তৃনমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের মন্তব্য, তিনি শুনেছেন, রাজ্য নেতৃত্ব যেমন নির্দেশ দেবেন সেটাই হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.