রিন্টু পাঁজা, সিউড়ি: অনলাইনে প্রতারণার শিকার ৩৫ জন ব্যক্তিদের টাকা ফেরালো বীরভূম জেলা পুলিশের সাইবার সেল। বর্তমান ডিজিটাল যুগের ছোয়াই মানুষ আধুনিক হয়ে পড়েছে। কম সময়ের মধ্যে নিজের স্মার্টফোনে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রয়োজনে টাকা-পয়সা লেনদেন, এছাড়াও অনলাইনে জিনিসপত্র বেচা কেনা করছেন মানুষ। যা আজ সবকিছুই কার্যত মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়ে পড়েছে। এর ফলে কিছু অসাধু ব্যক্তি অনলাইনের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পেতে রয়েছেন যার ফলে সেই ফাঁদে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে পদার্পণ করতে বাধ্য করছেন সাধারন মানুষদের। কাউকে মোবাইলের সিম বন্ধ হয়ে যাবে বলে ফোন করে প্রতারণার ফাঁদে একাউন্ট থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, আবার কাউকে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর প্রতারণার ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতারকরা। যার ফলে বহু টাকা হারিয়েছেন অনেকেই। প্রতারিত ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন পুলিশে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে বীরভূম জেলা পুলিশের সাইবার সেল। তদন্ত শুরু করে অনলাইনে প্রতারণার শিকার এমন ৩৫ জন ব্যক্তি দের টাকা উদ্ধার করে পূর্বেই ফেরত দিয়েছেন তবে এদিন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী অপারেশন-ই প্রাপ্তি” নামক একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনলাইন প্রতারিত ব্যাক্তিদের হাতে একটি বিশেষ শংসাপত্র তুলে দিলেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২০২০ থেকে ২০২১ এই দেড় বছরে অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা চুরি হয়েছে, তারমধ্যে কুড়ি লক্ষ টাকায় ইতিমধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বীরভূম জেলা পুলিশ। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী জানান, কয়েকবছর ধরে জেলায় ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোকে সামনে রেখে আমরা একটি ইউটিউব চ্যানেল আজ থেকে শুরু করছি। যেখানে মানুষের অনলাইন লেনদেন এবং সাইবারক্রাইম নিয়ে সতর্ক করা হবে। এর ফলে মানুষ বাড়ি থেকেই এই অপরাধের নানা ধরন নিয়ে আরো বেশি সতর্ক হতে পারবেন।” প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তি দীনবন্ধু দে জানান ” বাড়িতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে আমাকে ফোন করা হয় সেখানে ধাপে ধাপে আমার কাছে ১লক্ষ ৪১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল প্রতারকরা, আমি অভিযোগ করি পুলিশে, এবং কয়েক মাসের মধ্যে সেই টাকা আমি ফেরত পায় পুলিশের তৎপরতায়, আমি অনেক খুশি এবং ধন্যবাদ জানাই বীরভূম জেলা পুলিশ কে।”