মনোরঞ্জন সাঁতরা : কোভিডকালেও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষ তেমন সচেতন নয়। রাস্তায় বের হলেই দেখা যায় নানা ধরনের সুরক্ষাসামগ্রী, যেমন সার্জিক্যাল মাস্ক, পলিথিনের হ্যান্ড গ্লাভস, সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস, ফেস-শিল্ড, সার্জিক্যাল ক্যাপ, পিপিই এগুলো যততত্র পড়ে আছে। শুধু তা-ই নয়, হাসপাতালের সামনেও এসব স্তূপাকারে পড়ে থাকতে দেখা যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিগত এ সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক হাজার টন। যার বেশির ভাগই করোনাভাইরাস সুরক্ষাসামগ্রী। এসব বর্জ্যরে সঠিক ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা না থাকায় পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে; তেমনি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ নানা ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার করছে। এগুলো জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন, ব্যবহৃত মাস্ক-গ্লাভস নিয়ে উদাসীনতার কোনো সুযোগ নেই। যত দ্রুত সম্ভব নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ এসব বর্জ্য অপসারণের চেষ্টা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেলে দেওয়া এসব সুরক্ষাসামগ্রী করোনা ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া যেখানে-সেখানে ফেলা মাস্ক হতে পারে নানাবিধ রোগের কারণ। এবং সেটা খুবই অবৈজ্ঞানিক। এসব সামগ্রী ব্যবহারের পর কীভাবে ফেলা উচিত, তার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কেউই নিয়মের তোয়াক্কা করে না। তবে যত্রতত্র ফেলা এসব সুরক্ষাসামগ্রী খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাতাসে ছড়াতে পারে তাই ব্যবহৃত সুরক্ষাসামগ্রী সঠিকভাবে ফেলা দরকার।