Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

নিজস্ব সংবাদদাতা: এই রাজ্যে একশো শতাংশ নাকি উন্নয়ন হয়ে গিয়েছে। উন্নয়ন এতটাই হয়েছে যে রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকে — এই দাবি শাসকদলেরই কতিপয় নেতার। তবে এই চিত্রটা উন্নয়নের এই রাজ্যের কোন প্রত্যন্ত গ্রামেরও নয়, এক্কেবারে বাঁকুড়া শহর থেকে ঢিলচড়া দূরত্বে দেরুয়া গ্রামের। সরকার যেখানে বারবার উন্নয়নের সমীক্ষা তুলে ধরছে আম জনতার সামনে, সেখানে উল্টো পূরণের সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়ার এই আস্ত একটা গ্রাম । তীব্র জল কষ্টে পুরো গ্রাম। পানীয় জলটুকুরো সংস্থান আজ দুই বছর ধরে নেই। প্রশাসনের সর্বস্তরে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। সহ্যের সীমা অতিক্রম করায় আজ বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ করলেন প্রমিলা বাহীনি। এদিন বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের দেরুয়া মোড় এর কাছে গ্রামবাসীরা সম্মিলিতভাবে বাধ্য হয়ে জাতীয় সড়ক স্তব্ধ করলেন পানীয় জলের দাবিতে। দেরুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ গত দুই বছর আগে ঘরে ঘরে পানীয় জলের লাইন সংযোগ স্থাপন হলেও তাতে জল পড়ে না। বিষয়টা নিয়ে অনেকবার লিখিত আকারে স্থানীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে জানালেও এর কোন সমাধান হয়নি। এর আগেও পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন হয়েছে এই জায়গায়। তীব্র জল কষ্টের জন্য বাধ্য হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, যতক্ষণ না বিডিও সাহেব এসে এর একটা বিহিত করছেন ততক্ষণ তাদের এই অবরোধ চলবে। এই অবরোধের খবর পেয়ে বাঁকুড়া থানার পুলিশ ছুটে এসে গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা নাছোড়বান্দা। অবশেষে পুলিশ বাহিনী নিয়ে এসে গ্রামবাসীদের দীর্ঘক্ষণ বোঝানোর পরে তারা আশ্বস্ত হয়ে অবরোধ তুলে নেন।এই বিষয়ে বিজেপি পরিচালিত জগদল্লা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুশান্ত শিব জানান, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পি.এইচ.ই দপ্তরকে জানানো হলেও পিএইচই দপ্তর থেকে নাকি কন্টাকটারদের চুক্তি অনুযায়ী বরাদ্দ টাকা দিচ্ছে না বলে তারা জানিয়েছেন,এই বিষয়টি নিয়ে তিনি বারবার বিডিও কে জানিয়েছেন বলেও তিনি জানান। অপরদিকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সোমনাথ চৌধুরী জানান বিজেপি পরিচালিত জগদল্লা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের তো অনেক ক্ষমতা তারা এই বিষয়টা নিয়ে কেন মুভ করছে না তারা চাইছে সমস্যাটা জিইয়ে থাক ভোটের রাজনীতি করার জন্য, তিনি জানান, জলের এই সমস্যাটির কথা তারা তাদের তরফ থেকে বিডিও সাহেবকেও জানিয়েছেন। তবে বিষয় যাই হোক না কেন গ্রামবাসীরা চাইছেন পানীয় জল, কবে এই সমস্যা থেকে অব্যাহতি পাবেন তারা, সেটার দিকে তাকিয়ে পুরো গ্রাম।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.