নিজস্ব সংবাদদাতা: হরিনখোলা ১ পঞ্চায়েতের সাহাবাগের বাসিন্দা সাহাদিয়া বেগম তার স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে আরামবাগ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকার তৃণমূল শাসকদলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে তাদের মারধোর ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে শাসানোর অভিযোগ নিয়ে। তিনি জানান, এলাকার তৃণমূল কর্মী ইয়ান্নু, বাসার, মাহবুল, মফি ইত্যাদি নামের কয়েকজন বাড়িতে এসে তার স্বামীকে মারধোর করে, স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার জন্য তাকে ও তার শাশুড়িকেও আক্রমণ করে, অশ্লীল ভাষায় শাসায়। তাদের অপরাধ তাদের বাড়িতে ঢোকার জন্য সিঁড়ি বানাচ্ছিলেন, এর আগেও নাকি সিঁড়ি তৈরি করতে গেলে এরা ভেঙে দেয়, এদিনও তৈরি করতে গেলে এরা বাধা দেয়। সিঁড়ি তৈরি করা না হলে তারা ঘরে ঢুকতে পারবে না। তারা নাকি প্রধান লাল্টু খানকে বিষয়টি জানালে উল্টে মফি, ইয়ান্নু সবাইকে ডেকে এনে অত্যাচার করছে। এ বিষয়ে প্রধান লাল্টু খান কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, এটা রেকর্ড রাস্তা ২৪ ফুট, এটা আর এস রেকর্ড আছে, পিচটা হয়েছে ১২ ফুট চওড়া। বাকি দুদিকে তিন ফুট করে ছয় ফুট তো রাস্তা থাকবে। রাস্তার উপর সিঁড়ি এর আগেও ওরা করেছিল, সেটা তিনি পঞ্চায়েত থেকে নোটিশ করে বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, একজনকে যদি তিন ফুট ছেড়ে দেয়া হয়, অন্যরাও নিশ্চয়ই একই দাবি করতে পারে। তাছাড়া ওর রাস্তা থেকে আট ইঞ্চি উচ্চতায় দাওয়া, একটা বাচ্চা ছেলেও উঠতে পারবে। তাই স্বত্ত্বেও ওরা চারফুট জায়গা নিয়ে সিঁড়ি তৈরি করছে। তার কাছে খবর আসার পর তিনি পঞ্চায়েতের এক মেম্বারকে পাঠান। সে গিয়ে নিষেধ করে, দুদিন বন্ধ থাক, পঞ্চায়েত প্রধান আসবে তার পর বিষয়টি দেখা যাবে। আর যদি করতেই হয় তাহলে একটা স্টেপে করতে হবে। মারধোরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওদের কেউ মারধোর করেননি উল্টে ওদের মহিলা সদস্যকে মেরেছে। সেই জন্য তিনি নিজে ওদের বিরুদ্ধে এফআইআর করবেন। উনি বলেন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারতো। কিন্তু সেসব ওরা মানতেই রাজি হয়নি। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।