নিজস্ব সংবাদদাতা: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সুযোগ দিয়ে ছিলেন ভুয়ো গ্রুপ ডি কর্মীদের নিজে থেকেই চাকরি ছেড়ে দেয়ার। কিন্তু তারা সেই সুযোগ গ্রহণ করেননি। এখন বিচারপতির নির্দেশে এসএসসি বোর্ড নোটিশ জারি করে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল ঘোষণা করেছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর কঠোর নির্দেশ, বাতিল হয়ে যাওয়া এই গ্রুপ ডি কর্মীদের কোনো ভাবেই স্কুলে ঢুকতে দেয়া যাবে না।, বেতন তো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সেই সঙ্গে এতদিন যে বেতন তারা পেয়েছেন সমস্ত টাকা মাসে মাসে ফেরত দিতে হবে। একই সঙ্গে তাদের চাকরিতেও পড়লো লাল কালি। আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাদের কোনো পরীক্ষায় কাজে লাগানো যাবে না। আদালত জানিয়েছে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে যে ৬০৯ জনের চাকরি গিয়েছে তাদের জায়গায় নতুনদের চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে এসএসসি।
শুক্রবার ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর নির্দেশের পর পরই এসএসসি বোর্ড বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয়, সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করলো। জানা গেছে, এই মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জানাতেই হবে কার নির্দেশে তিনি এইসমস্ত অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরির সুপারিশ পত্র দিয়েছিলেন, কেন এভাবে জালিয়াতি করে ছিলেন।যদি তিনি না জানান তাহলে ধরে নেয়া যেতেই পারে তিনিই এই সব অন্যায়ের, দুর্নীতির মাথা ছিলেন। আর যতদিন না এই মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তিনি তাঁর কোনো ডিগ্রি নামের পাশে ব্যবহার করতে পারবেন না। অবশ্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য যদি পারিবারিক নিরাপত্তার কারণে আদালতে সত্যিটা প্রকাশ করতে ভয় পান, দ্বিধাবোধ করেন তাহলে আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তার পরিবারের নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এসএসসি গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে ওএমআর শিট বিকৃতির মামলায় কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৮২০ জনের চাকরির সুপারিশ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার দুপুর বারোটার মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে হলফনামা জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার এই নির্দেশ জারি হতেই আতঙ্কিত হয়ে আছেন প্যানেলভুক্ত চাকরি প্রাপকেরা। তারা জরুরি ভিত্তিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ মামলা করার অনুমতি চাইলে সেই অনুমতি দেননি ডিভিশন বেঞ্চ এর বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এমনটাই জানা গেছে।
