Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

সুশান্ত দাস : আরামবাগ এমনিতেই বন্যাপ্রবন এলাকা। দ্বারকেশ্বর নদীর তীরে অবস্থিত আরামবাগ পৌরসভা। নদী বাঁধ আছে, কিন্তু এতটাই দুর্বল যে ২০২১ সালে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে বাঁধের বেশ কয়েকটি জায়গা ভেঙে আরামবাগে মুল শহরের বেশ কয়েকটি জায়গা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। দুর্বল বাঁধের সংস্কারে উদ্যোগ নেয় ইরিগেশন দপ্তর। আরামবাগ ৪ নং ওয়ার্ড বাঁধ পাড়া থেকে আরামবাগ ১ নং ওয়ার্ড মনসা তলা এলাকার বাঁধ সংস্কার করা হলেও অবৈধ নির্মাণ অব্যাহত থাকলেও প্রশাসনের কোনো স্তরেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ছিল। এমনকি তালপুকুর থেকে একেবারে বাঁশ তলা পর্যন্ত বাঁধ সংস্কারের কাজ যার উপর ন্যাস্ত ছিল সেই ঠিকাদার কাজল দের দফাদার তারক সামন্তর বিরুদ্ধে তখন অভিযোগ ওঠে তিনি নাকি বিশেষ উপঢৌকন নিয়ে এলাকার কতিপয় ব্যক্তির চাহিদা মাফিক বাঁধের সংস্কারের কাজ করেছেন, বাঁধের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেয়নি। তার ফল, মনসাতলা এলাকায় এক ব্যাক্তি তার ব্যবসাকে মজবুত করতে বাঁধকে দুর্বল করে অবৈধ কাঠামো নির্মাণ করেছেন। আরামবাগ টাইমস্ এর সাংবাদিক অভিযোগ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তার মোবাইল কেড়ে নেবার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগের তীর যার দিকে সেই ব্যবসায়ী বলেন তার কাছে ইরিগেশনের অনুমোদন নেয়া আছে। যদিও আরামবাগ ইরিগেশনের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দীনবন্ধু ঘোষ বলেন এভাবে অনুমোদন নেয়া যায় না। পৌরসভা ও প্রশাসনিক ভাবে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া দরকার। প্রশাসনিক ভাবে তাঁর কাছে জানালে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।পৌর প্রধান সমীর ভান্ডারী জানান তিনি এই ধরনের অন্যায় সমর্থন করেন না, ইরিগেশন দপ্তরের সাথে কথা বলবেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.