নিজস্ব সংবাদদাতা: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, যদি কোন অঘটন না ঘটে, পঞ্চায়েত ভোট ঝুলিয়ে রাখা না হয় তাহলে আর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট হবে, আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আজ বৃহস্পতিবার ৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে জেলার উন্নয়নকে জনমানসে কার্যত পাখির চোখ করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস এবং পরিষেবা প্রদান করেছেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এর মধ্যে হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার ৪টি থানা এলাকায় বেশ কিছু কর্মসূচি ভার্চুয়াল মাধ্যমেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন, শিলান্যাস ও পরিসেবা প্রদান করেন। যার মধ্যে পুড়শুড়া ব্লকে আঁখড়ি- শ্রীরামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ক্যাম্পাসের ভিতরে কুড়ি শয্যা বিশিষ্ট করোনা হাসপাতাল, গোঘাট ২ ব্লকের লালুকা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়ন, আরামবাগ ব্লকের দক্ষিণ নারায়ণপুর গ্রামীণ হাসপাতাল কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর, খানাকুল ১ ব্লকের ছত্রশালের এবং আরামবাগ ব্লকে বাছানুরীতে জল সরবরাহ প্রকল্পের অন্তর্গত পাঁচটি গ্রামে ও ডিহিবাইরায় জল সরবরাহ প্রকল্পের অন্তর্গত তিনটি গ্রামে, গোঘাট ১ ব্লক এ রাধাবল্লভপুরে জল সরবরাহ প্রকল্পের অন্তর্গত তিনটি গ্রামে, আরামবাগ ব্লকের মোবারক ২ ও গোঘাট ১ ব্লকের দিঘরা ২ নদীর পাতন প্রকল্পের, গোঘাট ১ ব্লকের দমদমা আদিবাসী পাড়ায় কমিউনিটি হলের সংস্কার, আরামবাগ পুরসভায় সাব ডিভিশনাল সাব রেজিস্ট্রারের অফিস ভবন ও আরামবাগ গ্রন্থাগারের নব নির্মিত দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন, পুড়শুড়া ব্লকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য কমিউনিটি হল (সদ্ভাব মন্ডল)- এর দোতলা ভবনের উদ্বোধন, পুড়শুড়া ব্লকে পুড়শুড়া বিদ্যালয় ভবন এইচএস টু থেকে বৈকন্ঠপুর খুশিগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার উদ্বোধন, আরামবাগ ব্লক এ কাপসিট বাস স্টপ থেকে রতনপুর হয়ে সামতা বাস স্টপ পর্যন্ত রাস্তার, গোঘাট ২ ব্লকের বাবুরামপুর থেকে বেলডিহা ভায়া পান্ডুগ্রাম বাস স্ট্যান্ডের উদ্বোধন, গোঘাট 2 ব্লকের কাটাই বাজার হাইস্কুল থেকে ভুরকুন্ডু হাইস্কুল হয়ে রায়ান শিব মন্দির হয়ে ভুরকুন্ডু দাস বাজার পর্যন্ত ও শান্তিপাড়া থেকে পাইক মাজিটা পর্যন্ত রাস্তার উদ্বোধন, খানাকুল দুই ব্লকে মুচিঘাটা বারবন সড়কের ঢাকরিয়ার আর সি সি সেতু উদ্বোধন, গোঘাট ২ ব্লকের কামারপুকুরে নব নির্মিত বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধন, খানাকুল ১ ব্লকের পূর্ব ঠাকুরানিচক ভীমতলা, পশ্চিম ঠাকুরানিচক হানাগোড়া বেড়িবাঁধ এর বামদিকে, বন্দিপুর বেরাপাড়া সার্কিট বাঁধের ডান দিকে ও কিশোরপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের এবং এবং আরামবাগ ব্লক এর ডহরকুন্ডু বেরা পাড়া ও আরামবাগ পুরসভার দৌলতপুর সিড ফার্মে দ্বারেকেশ্বর নদীর উপর নতুন বাঁধ প্রকল্পের উদ্বোধন, খানাকুল ১ ব্লকে কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খানাকুল ২ ব্লকে বন্দর, মাইতি পাড়ায় রূপনারায়ণ নদীর উপর বাঁধ এর উদ্বোধন, গোঘাট ১ ব্লকে বালি গ্রাম পঞ্চায়েতে শঙ্করী নদীর উপর বাঁধ, পুড়শুড়া ব্লকের চিলাডাঙ্গী গ্রাম পঞ্চায়েতে দামোদর নদীর উপর বাঁধ, খানাকুল ২ এ দ্বারকেশ্বর নদীর উপর ও আরামবাগ ব্লক ও পুরসভা এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদীর উপর বাঁধ সংস্কার উদ্বোধন হয়ে গেল।
এছাড়াও খানাকুল ১ ব্লকের উদনা, ঘাঘররপুরে, গোঘাট ১ ব্লকের জয়কৃষ্ণপুরে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের শিলান্যাস, খানাকুল ১ ব্লকের চকভেদুয়া, ঘাসুয়া, কেদারপুর, খামারগোড়ি, মাজপুর পিলখাঁ, পোল, রাধাবল্লভপুরে, খানাকুল ২ ব্লকের বনহিজলি ও হানুয়া, পুড়শুড়া ব্লকের বড় দিগরুই, ঘোলদিগরুই, হাটি, যশার, পুড়শুড়া ও রাউতাড়ায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়ন, গোঘাট এক ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতাল ক্যাম্পাসের ভিতরে ২০ শয্যার করোনা হাসপাতাল, আরামবাগ প্রফুল্ল চন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিতরে ১০০ শয্যার করোনা হাসপাতাল, খানাকুল ১ ব্লক এ খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতাল ভবনের সংস্কার গোঘাট দুই ব্লক এ কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ও আরামবাগ ব্লকের দক্ষিণ নারায়নপুর গ্রামীণ হাসপাতালে জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র গোঘাট এক ব্লকের ঘাটে আরামবাগ ব্লকের মলয়পুর ও মান্দ্রা খানাকুল ১ ব্লক এ তাঁতিশাল খানাকুল দুই ব্লকের কাঁকনান ও রাজহাটি পুড়শুড়া ব্লকের সৈয়দপুর আরামবাগ পাইপ যুক্ত জল সরবরাহ প্রকল্পের সংস্কার , আরামবাগ ব্লকের আমগ্রাম-১, গোঘাট ১ব্লকের বালি পঞ্চায়েতের জগতপুর ও কুমুরসা পঞ্চায়েতের পূর্ব অমরপুর -১এ বৃহৎ নদী সেচ জলত্তোলোন প্রকল্পের সংস্কার, আরামবাগ ব্লকের কৃষ্ণবাটি ভীমতলা থেকে এ ডিহিবাগনান এস সি রোড থেকে রাধাবল্লভপুর ভায়া চুনাইট মোড় পর্যন্ত, গোঘাট ১ ব্লকের ভাদুর ভীমতলা থেকে রাস্তা সংস্কারের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও অনেকেই মনে করছেন এসবই পঞ্চায়েত ভোটের গিমিক। আদৌ ভোট হলে ভোট ফুরোলেই নটে গাছটি মুড়িয়ে যাবে। উদাহরণ হিসেবে অনেকেই কয়েক পাতা জুড়ে বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্রে ভুলে ভরা সরকারি বিজ্ঞাপনের সাথে তুলনা টেনে বলেছেন, উদ্বোধন ও শিলান্যাস এর জায়গার নাম এতটাই ভুলে ভরা যে আদৌ কোথায় কাজ হয়েছে বা আদৌ হবে বুঝতে পারা যাচ্ছে না। একই ভাবে পরিষেবা প্রদান এ যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে “চোখের আলো ” বর্তমানে কি আছে? অথচ তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপন এ এখনও জ্বলজ্বল করছে। বনকর্মীদের মোটোর সাইকেল ও প্রাণী এম্বুলেন্স কি আদৌ সমস্ত ফরেস্টে দেয়া হয় বা হয়েছে এই নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
