Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

নিজস্ব সংবাদদাতা: এক টোটো চালকের নৃশংসতায় বিষ্ণুপুর এলাকা জুড়ে চরম উত্তেজনা ছড়ালো। অভিযোগ, বুধবার ইংরাজি ৮ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের পোকা বাঁধ এলাকার এক খাবারের দোকানের বৃদ্ধ ব্যবসায়ী কৃষ্ণচন্দ্র দে মোদকের দোকানে ধার করে এলাকার ত্রাস বলে পরিচিত টোটো চালক জনৈক বর্ষাত খান। কিন্তু সে ৭০ টাকা ধার করে শোধ না করে উল্টে এদিন ‌আবার দোকানে কেনাকাটার জন্য আসায় বৃদ্ধ ব্যবসায়ী কৃষ্ণচন্দ্র দে মোদক আগের ধারের ঐ ৭০ টাকা চাওয়ায় তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে এ টোটো চালক।‌অনেকেই জানান দাদাগিরিতে অভ্যস্ত ঐ টোটো চালক অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। তাতেই খান্ত থাকেনি, পাশেই চপ ভাজার ফুটন্ত তেলে নাকি ঠেলে ফেলে দেয় এ বৃদ্ধ ব্যবসায়ী কৃষ্ণচন্দ্র দে মোদককে। বছর পঁয়ষট্টির কৃষ্ণচন্দ্র দে মোদক এর শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে তিনি বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ব্যবসায়ী কৃষ্ণ চন্দ্র দে মোদক এর ছেলে প্রসেনজিৎ দে মোদক, স্ত্রী গায়িত্রী দে মোদক এর অভিযোগ, এলাকায় ‘ত্রাস’ হিসেবে পরিচিত বর্ষাত খান নামের ঐ টোটো চালক সম্প্রতি তাদের খাবারের দোকানে ৭০ টাকা ধার করে। এদিন সে ফের তাদের দোকানে এলে ধারের টাকা চাইলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। পরে এর মাঝেই চপ তেলেভাজা তৈরীর গরম তেলে কৃষ্ণচন্দ্র দে মোদক কে বর্ষাত খান নামে ঐ টোটো চালক ফেলে দেয় বলে তারা অভিযোগ করেন।

এই ঘটনার নিন্দা করেছে চক বাজার লক্ষীমাতা ষোলো আনা কমিটি। ঐ কমিটির সদস্য ষষ্ঠী দে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দাজনক। বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তারা করছেন বলে জানান।

শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে অভিযুক্ত টোটো চালককে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ আটক করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.