Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

মানিক মজুমদার : ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তখন পাকিস্তান দুটি অংশে বিভক্ত ছিল। একটার নাম ছিল পশ্চিম পাকিস্তান এবং অপরটির নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)। এই দুটি এলাকার দূরত্ব ছিল বারশত মাইল। এই সময় পাকিস্তানের লোকসংখ্যার শতকরা ৫৬ ভাগ বসবাস করত পূর্ব পাকিস্তানে। আর বাকি ৪৪ ভাগ বাস করত পশ্চিম পাকিস্তানে । পূর্ব পাকিস্তানের সমগ্র জনগোষ্ঠির মাতৃভাষা ছিল বাংলা, আর পশ্চিম পাকিস্তানের জনগোষ্ঠির ভাষা ছিল মিশ্রণ। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সংবিধান প্রণয়নের জন্য বিভ্রান্তের সৃষ্টি হয়। কারণ রাষ্ট্রভাষা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলে সংবিধান প্রণয়ন করা সম্ভব হয় না। ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের প্রথম গভর্ণর জেনারেল কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পূর্ব পাকিস্তানে সফরে এলেন। এখানে এসে ৩১ মার্চ ১৯৪৮ প্রকাশ্য জনসভায় ঘোষণা করলেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই সময় ১৯৪৮ সালে ছাত্ররা তীব্র প্রতিবাদ করে উঠলো, সেই থেকেই ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত। ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ইন্তেকাল করেন, ফলে খাজা নাজিমউদ্দিন নতুন গভর্ণর নিযুক্ত হন। ১৯৪৯ সাল নাগাদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নবাবজাদা লিয়াকত আলী খান সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রভাষা সহ অন্যান্য অমিমাংসিত বিষয়গুলোর চুড়ান্ত ফয়সালা করতে আগ্রহী হন। ১৯৫১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাওয়ালপিন্ডির শহীদবাগে এক জনসভায় ভাষণদানকালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নটি মিমাংসা করতে উদ্বিগ্ন হন। ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকা পল্টন ময়দানে মুসলিম লীগের এক জনসভায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন ঘোষণা করলেন- একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। ইতোমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে এবং কলেজগুলোতে পৃথক পৃথক সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণে সচেতন ছাত্র সমাজ বিদ্রোহ ঘোষণা করে, সেই থেকে সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে উঠলো।
১৯৫২ সালে ৩১ জানুয়ারি ঢাকা বার লাইব্রেরী হলে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে মাওলানা ভাসানীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে গঠিত হয় সর্বদলীয রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদ। উল্লেখ্য যে, সেদিন বিরাজমান পরিস্থিতি এমন ছিল যে সম্মেলনে যোগদানকারী এক শ্রেণীর নেতৃবৃন্দের তীব্র বিরোধিতার দরুণ কমিটির নামকরণের সময় সংগ্রাম শব্দটি বাদ দিয়ে কর্ম শব্দটি গ্রহণ করতে হয়েছিল। এই দিনে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদের প্রথম বৈঠকে আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি প্রদেশব্যাপী ভাষা দিবস আহ্বান জানানো হয়। এই কর্মসূচীর মধ্যে ছিল একুশে ফেব্রুয়ারিতে ধর্মঘট, জনমত ও শোভাযাত্রা। অবশ্য একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা দেওয়ার পিছনে দুইটি ইতিহাস ছিল। তৎকালীন পরিবেশে বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল ছাত্রদের জন্য জীবন মরণের প্রশ্ন। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছিল।
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদের কর্মসূচী প্রচারের পর তৎকালীন সরকার মরিয়া হয়ে উঠলেন। ১৯৫২ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টায় আংশিকভাবে ঢাকা শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করলেন। ২০ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ফজলুল হক হলের পুকুর পাড়ে মুষ্টিমেয় ছাত্র নেতাদের এক গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো যে, যেভাবেই হোক না কেন একুশে ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতেই হবে। যথারীতি ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ছাত্র জমায়েত ও মিছিলের প্রস্তুতি নিলে মুসলিমলীগ সরকার মিছিলকারী ছাত্রদের উপর তুমুল গুলিবর্ষণ করেন। সে সময় সালাম, রফিক, শফিউর, বরকত ও জব্বার নামক কয়েকজন ছাত্রসহ নাম না জানা অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এর পর পরই পূর্ব বাংলার বাঙালি বুদ্ধিজীবি সমাজ হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং ভাষা আন্দোলনের সমর্থনে এগিয়ে আসেন। এই সময় বাংলা ভাষার সমর্থনে কিছু রাজনীতিবীদ, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবিকে মুসলিমলীগ সরকার গ্রেফতার করার পরবর্তীকালে এদের ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্ব হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি একটি সুন্দর সূর্য উদয়ের সূচনা। একটি ব্যথাময় ইতিহাসের পটভূমিকা। সে সূচনার পটভূমিকায় দাঁড়িয়ে সালাম, রফিক, শফিউর, জব্বার, বরকত, এমনি আরো নাম না জানা অগণিত ব্যক্তি আত্মোৎসর্গ করে গেছে ওদের মূল্যবান জীবন। মায়ের ভাষার স্বীকৃতির জন্য, বাংলাদেশের জন্য। রক্তের স্রোত বয়েছিল সেদিন এই বাংলার বুকে। এমনি ২১ আসে যায় শহিদী আতœার স্মৃতি হয়ে রক্তঝরা ফাগুনের সাথে মিতালী করে। বাংলা প্রেমী বাঙালিরা কিন্তু বসে ছিলো না। অমর আতœার রক্তের পিচ্ছিল পথ ধরেই সুন্দরের সৈকত অবগাহন করার জন্য অধিকার আদায়ের জন্য পায়ে পায়ে এগিয়ে চলছিলো। সেদিন ছিল একটা বিদ্রোহের আগুনের পি- প্রতিটি বাঙালির মনে। দাউ দাউ করে জ্বলছিল সে আগুন দাবানলের মত। মায়ের মধুর ভাষায় কথা বলার জন্যও শোষিতের শৃংখল! ঘটনা প্রবাহে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী নিজেদেরকে বাঙালি জাতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ জাতি এবং বাংলা ভাষার চেয়ে উর্দুকে শ্রেষ্ঠ ভাষা হিসেবে মনে করায় সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের ভাষা বাংলা হওয়া সত্বেও উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করার অপপ্রয়াস চালায়। তার ফলে বাংলার সচেতন মানুষ, সোনার ছেলেরা সেই অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল সম্মিলিতভাবে এবং ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বাংলা ভাষার মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আর মায়ের ভাষার স্বীকৃতি দানে নিজের জীবন দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে রেখে গেছে অধিকার আদায়ের প্রেরণা। সেই প্রেরণার অনুসরণ করেই বুলেটের আঘাতে জর্জরিত হয়ে রক্ত পিচ্ছিল পথ পেরিয়ে ৫৪ বছর ধরে আজকের এই স্বাধীনতা এবং স্বাধীন দেশে ২১শে ফেব্রুয়ারি পালন করছি বাংলাদেশে ৫১ বছর ধরে। এমনি করে কালের কপোলতলে গড়িয়ে গেছে রক্ত পিচ্ছিল পথগুলো। সামনে আসছে নতুন দিন।
সর্বোপরি পরিলক্ষিত হয় ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫২ সালের মধ্যবর্তী সময়কালে বুদ্ধিজীবি সমাজ হিসাবে যারা পরিচিত ছিল তারা অধিকাংশই তৎকালীন মেধাবী ছাত্র। তাদের অবদান এবং জীবনের বিনিময়ে আন্দোলনের উৎপত্তি হয়। ২১শে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন থেকেই পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়। অতঃপর ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০’এর নির্বাচন থেকেই ৭১’এর ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা মাতৃভাষা থেকে মাতৃভূমির স্বাধীকার অর্জনে সমর্থ হই। পরবর্তী সময়ে সরকার বদল-ক্ষমতা বদল হলেও বাঙালির মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার পরিপন্থি কোন কার্যক্রম বাংলাদেশে হয়নি। বাংলা তথা মাতৃভাষার জন্য বাঙালির এই আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
তারপর আনন্দের কথা, আমাদের এই ভাষা দিবসের বিশ্ব অভিষেক ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে। যে নতুন যুগান্তর আন্তর্জাতিক ভাবে এ দিবসটি স্বীকৃত। শুধু বাঙালির জাতীয় ভাষা দিবস নয়। ইউনেস্কোর (টঘঊঝঈঙ) কল্যাণে সমগ্র বিশ্বে (জাতিসংঘ ভুক্ত ১৯৪টি দেশে) প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। বিশ্বে সমগ্র ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষার স্থান চতৃর্থ হলেও বিশ্বের প্রায় ৪ হাজার ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষাকে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত করা হয়েছে। বাংলাই একমাত্র ভাষা যা ভাষার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। ভাষা দিবসের এই বিশ্ব অভিষেক, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে শহীদের আত্মত্যাগ সর্বাংগে সার্থক হয়েছে। এই আনন্দ, এই সুখ, এই শান্তি -প্রকাশে অব্যক্ত খুশিতে ভরপুর আমাদের হৃদয় মন এবং উচ্ছ্বসিত আনন্দে উদ্বেল আমরা। আন্তর্জাতিক পরিম-লে বিশিষ্টতা দান করেছে। এ স্বীকৃতির মধ্য দিয়েই ভাষা শহীদদের আতœা শান্তি লাভ করেছে। বর্তমানে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবেও বাংলাকে মর্যাদা দেবার দাবি উত্থাপন হয়েছে, আমরা আশাবাদী আমাদের প্রাণের এ দাবি বাস্তবায়িত হবেই। প্রিয়জনহারাদের এই প্রাপ্তি আনন্দের ও গর্বের। তারপরও কথা থেকে যায় অনেক। এ আনন্দ ও শান্তি লাভ করতে গিয়ে দুঃখবোধ জাগে অনেক। কেননা, আমরা মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে পরিপূর্ণভাবে স্বাধীনতার আস্বাদ অনুভব করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছি আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব। চারিদিকে বিশৃঙ্খলার আঁধার বিরাজ করছে। শহীদ ভাইদের ত্যাগ ও তিতিক্ষার কথাগুলো ভুলে ব্যথাভরা ইতিহাস পেরিয়ে এসে স্বাধীনতার সম্ভ্রম, সম্মান ও ঐশ্বর্যকে ধূলোয় লুটিয়ে ফেলেছি। সন্ত্রাস, কালো টাকা, নারী নির্যাতন, মধ্যযুগীয় বর্বরতা ফতোয়াবাজি, লোভ-লালসা, হিংসা বিদ্বেষ, কলুষিত মনের সংকীর্ণতা, মানবতার অবমাননা, লাঞ্ছনা, অসভ্য উদ্ভট নোংরা উম্মাদনায় গা ভাসিয়ে দিতে একটুকু দ্বিধাগ্রস্থ নয় সজ্ঞানী সত্বাগুলো। সহনশীলতা, সহিঞ্চুতা, প্রজ্ঞা, জ্ঞানের আলোক মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে পাপপঙ্কিল আবর্জনায়।
বিশ্বের ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন করে বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করে যে বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলো, যার সূত্র ধরেই মাতৃভূমির আন্দোলন ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুত্থান সেই মাতৃভাষা বাংলা রাষ্ট্রীয়ভাবে কতটুকু প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পেরেছে এটাই আজকের জিজ্ঞাসা। এখনো সর্বোচ্চ আদালতের রায় হয় ইংরেজিতে। অফিস, ব্যাংকগুলোতে ইংরেজির ব্যবহার অধিক। শরীরে অসুখ হলে ডাক্তার ইংরেজিতে প্রেসক্রিপশন লেখেন, স্বল্প শিক্ষিত বাঙালি অনেকেই যা বুঝতেও পারেন না। আমরা নিজেরা যদি বাংলাদেশে এই মহান আত্মত্যাগের মর্যাদা দিতে না পারি তাহলে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা হলে কী লাভ? আগে আমাদের ঘর ঠিক রাখতে হবে। সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে সভা সেমিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তৃতা দিলেই চলবে না, শিকড়কে মজবুত করতে নব প্রজন্মকে শাণিত করতে নীতিমালা করে বাংলার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের যথার্থ মূল্যায়ন করতে হবে।
শেষান্তে-সহস্র শহিদী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ভাষার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা রেখে আলোকিত দেশ ও সমাজ গড়ে তোলার জন্য ভাষার সঠিক মূল্যায়নের শপথ নিতে হবে। শুভ হোক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, নতুন শতাব্দীর চক্রবাকে মূকবেদনায় যেন বধির হতে না হয় আমাদের। আমরা আজ সম্মিলিতভাবে স্বপ্নের শাশ্বত সুন্দর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। যেখানে থাকবেনা অন্যায়, অমানবিকতা, ত্রাসের রাজত্ব এবং নোংড়া মনের অভিশাপ। দেশ ও দশের জন্য যা আনবে শান্তি ও সমৃদ্ধি। মহান ভাষা আন্দোলনের ৭১তম বর্ষে মহান স্রষ্টা আমাদের সে শক্তি দান করুন।
লেখক পরিচিতিঃ কবি, গল্পকার, উপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক, সদস্য, বাংলা একাডেমি, ঢাকা। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ কবিতা সংসদ, পাবনা।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.