Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

আবার মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই বাস দ্রুত গতিতে চলতে চলতে ভয়ঙ্কর ভাবে পাল্টি খেয়ে উল্টে যায়। কাটোয়ার ঘটনা। সামনের পাতি ভেঙ্গেই নাকি এই দুর্ঘটনা। প্রানহানীও ঘটেছে, আহত ৪০ এর উপর, এমনই সংবাদ। বাসটিতে ছাদে ও ভেতরে অসংখ যাত্রী ও পণ্য ছিল বলে খবর। আর অতিরিক্ত যাত্রী তোলার ঘটনা শুধু এই বাসটির ক্ষেত্রেই নয়, প্রায় প্রত্যেক রুটেই একই দৃশ্য। বাসের ভেতর মানুষ একপায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে বাধ্য হয়। হেল্পার, কন্ডাক্টার যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বই দেননা। মানুষের সঙ্গে হাঁস মুরগি থেকে ছাগল পর্যন্ত তোলা হয়, আর চাল, আলু, পেঁয়াজের বস্তা থেকে শুরু করে ভারি লোহার জিনিস পত্র যা পান তাইই বাস কর্মীরা তুলে নেন। বাস চালানোর আগে সমস্ত যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কিনা দেখে নেয়া উচিত হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা হয়ই না। বাসে যাত্রী সুরক্ষার ধার ধারেননা মালিক থেকে শুরু করে বাস কর্মীরা। এভাবেই মোটা অংকের ভাড়া গুনে গরু ছাগলের মতো বাসে যাতায়াত করতে হয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাণ হানী খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।এর সঙ্গে দোসর পথ চলার অযোগ্য রাস্তা। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব দেখার দায়িত্ব কার? মোটোর ভেইকেলস দপ্তর কি জেগে ঘুমাচ্ছে? পুলিশ বলে দিলে বা ইশারা করে দিলে অতি উৎসাহে রেডের নামে ট্রাক্টার চালকদের থেকে , লড়ি থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা ফাইনের নামে নেয়া হয়।‌ অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাকি চোথা কাগজে ফাইনের অঙ্ক লিখে হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় এমন অভিযোগ অনেকেই করে থাকেন। এই মোটোর ভেইকেলস দপ্তর বাসগুলোর ক্ষেত্রে এতো দিবা নিদ্রায় মগ্ন থাকে কিভাবে? ভাঙাচোরা রাস্তায় তিল ধারণের জায়গা থাকেনা এমন ঠাসা যাত্রী বোঝাই বাস দ্রুত গতিতে ছুটে যায় এতো মানুষের জীবনের ঝুকি নিয়ে, কোথায় থাকে তখন এই দপ্তর? পারমিট দেয়ার সময় তো রকমারি শরতের ফর্দ ধরিয়ে দেয়া হয়, বাস মালিকরা আদৌ তার কতটুকু মেনে চলেন সেটা কেন দেখা হবে না? যাত্রী সুরক্ষার কোনো কিছু বাস মালিকরা মেনে চলেন? একটা রাস্তাও নিরাপদ পথ চলার যোগ্য? এর পরেও যদি ট্রাক্টার, লড়ি থেকে নানান ওজোর চাপিয়ে ৩০/৪০হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা জরিমানা করা যায়, বাসের ক্ষেত্রে নয় কেন? কিসের বোঝাপড়া থাকে? যারা টিকিট কেটে বাসে চড়েন গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে, তাঁদের জীবনের দাম নেই? এমনিতেই এই মোটোর ভেইকেলস দপ্তর এর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়, রটনা আছে, এই দপ্তরে্কে নাকি দূর্নীতির আখড়া বলা হয়। একেরপর এক যাত্রী বোঝাই, অতি দ্রুত গতি সম্পন্ন বাস প্রায়শই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ও পড়ছে, এর পরেও এই দপ্তরের হুঁশ ফিরবে না?

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.