সুশান্ত দাস : সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। পুনরায় ক্ষমতায় আসার জন্য ভোটের মুখে গ্রামে গ্রামে তৃনমূলের কর্মসূচি “চলো গ্রামে যাই” চলছে। আজ পুড়শুড়ায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মালা রায় সহ কয়েকজন নেত্রী এসে ছিলেন চলো গ্রামে যাই কর্মসূচিতে। তাঁর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পুড়শুড়া ব্লক তৃনমূলের পাশাপাশি আরামবাগ ব্লক তৃনমূলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা নাকি এলাকার মহিলাদের মিটিংয়ে গেলে বাড়ি মিলবে এমনই আশ্বাস দিয়ে কলা টিফিন দিয়ে নিয়ে গিয়ে ছিলেন। অনেকেই জানেনই না তৃনমূলের কোন্ নেতা বা নেত্রীর মিটিং চলছে, শুধু বোঝা যাচ্ছে অতি সাধারণ বিত্তের এই মহিলাদের অনেকেই তৃনমূলের প্রায় বারো বছরের রাজত্বে এখনও পর্যন্ত মাথা গোঁজার জন্য সরকার প্রদত্ত বাড়িটুকু পাননি। তবে দলের আশ্বাসে ভর করে তাঁরা এলাকার নেতাদের আদেশে মিটিং মিছিলে যাচ্ছেন। লোক না বাড়ালে দলের শক্তি কতটা শক্তপোক্ত সেটাও প্রমাণ হয়না। এলাকার নেতার নেতৃত্ব প্রমাণ করার এটাও একটা শর্ত, মিটিংয়ে মিছিলে পিলপিল করে লোক নিয়ে যাওয়া। পুড়শুড়ায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর সভায় উপস্থিত হয়েও প্রবেশ করতে পারেননি অনেকেই। অনেকেই জানালেন ছবি বা নাম প্রকাশ করে দিলে বাড়িটুকুও মিলবে না ভাই, নেতারা নিয়ে এসেছে। ছোট জায়গায় ঢুকতে পারেননি বলে ফিরে যাচ্ছেন। তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান কিছু করার নেই, না গেলে বাড়ি মিলবে কিনা জানেন না, লক্ষ্মী ভান্ডারও কেড়ে নিতে পারে, জলে নেমে কুমিরের সঙ্গে বাস করার অবস্থা।