Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

অনেকেই জানেন না, ব্যতিক্রমী ঘরানার মুর্শিদাবাদের প্রসিদ্ধ ‘ঝুড়ি দই’-এর কথা।মাটির ভাঁড় বা হাঁড়ি নয়,এখানে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বানানো ঝুড়িতেই পাতা হয় দই।কিন্তু ঝুড়িতে তো ফাঁক থাকে,তাতে দই পাতা সম্ভব? মুর্শিদাবাদ দৌলতপুরের হরিশপুর অঞ্চল, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের সীমান্তের কাছে রঘুনাথগঞ্জের ঝুড়ি দই বাংলায় প্রসিদ্ধ।স্বাদ ও গুণগত মানের দিক থেকে এই দইকে অনেকেই ‘শ্রেষ্ঠ’ মনে করেন।এই দইয়ের বৈশিষ্ট্য হল, বাঁশের কঞ্চির ছোটো ঝুড়ির গায়ে দইয়ের শক্ত সাজা বা ক্ষীরের প্রলেপ মাখিয়ে দিয়ে ছিদ্রগুলি বন্ধ করে সেই ঝুড়িতে পাতা হয় দই। এই দইয়ের উপরে পুরু ঘিয়ে রঙের আস্তরণ থাকে, তা সরিয়ে ফেললেই মিলবে সাদা রঙের দই। স্বাদে অম্লমধুর। খেতে অতুলনীয়।
হরিশপুরের দই ব্যবসায়ী গৌতম ঘোষ বংশ পরম্পরায় দই বিক্রি করে আসছেন, তাঁর বাবা দই বানিয়ে সোনার মেডেল পেয়েছিলেন। “আমাদের প্রায় দুশো বছরের ব্যবসা। ১৯৫৩-৫৪ সালে বিধানচন্দ্র রায় যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, দই খেয়ে আমার বাবাকে পুরস্কৃত করেছিলেন।” বলেন গৌতমবাবু।
ইতিহাস বলছে, একসময় এখানে ক্ষীরের দই পাতা হতো।একটু মোটা হওয়ায় এই দই ঝুড়িতে বা ঝুড়ির পাত্রে রাখলেও তা বেরিয়ে আসত না।দই তৈরি এমনভাবে করা হতো,যাতে ঘনত্ব বাড়ানো যায়।কারিগররা এই দইয়ের রেসিপি ফাঁস করেন না।
যাঁরা এখনও এ স্বাদের ভাগ পাননি, মুর্শিদাবাদ গেলে চেখে দেখতে ভুলবেন না যেন!

(তথ্য সংগৃহীত)

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.