সুশান্ত দাস : আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত বাতানল পঞ্চায়েতে তৃনমূলের মাদার-যুব দ্বন্দ দীর্ঘদিনের। যে কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে রীতিমতো এলাকায় মারধোর, ভাঙচুর, ঘরছাড়ার মতো ঘটনা ঘটেই থাকে। এলাকায় তৃনমূলের মাদারের গোষ্ঠী হিসেবে প্রধান দিলিপ রায়ের এবং যুব গোষ্ঠী হিসেবে কাঞ্চন মুন্সি দুই গোষ্ঠীর দন্দে উত্তপ্ত থাকে বাতানল অঞ্চল। গতকাল রাতে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাতানল পঞ্চায়েতের চকহাজি এলাকা। রীতিমতো মারামারি চলে। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায় এলাকা। পঞ্চায়েতে টেন্ডার তোলা নিয়ে ঝামেলা এবং মারধোরকে কেন্দ্র করে নাকি ঘটনার সূত্রপাত। এর জের ধরেই রাতে নাকি মাদার গোষ্ঠীর লোকজন কাঞ্চন মুন্সি গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজনকে রীতিমতো মারধোর করে। যার খেয়ে জখম হয়ে আরামবাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাঞ্চন মুন্সি গোষ্ঠীর লোক সুদিপ অভিযোগ করেন তিনি সিপিএমের লোক হলেও তৃনমূলের যুবর সঙ্গে ওঠাবসা করায় তাকে মারা হয়েছে। এদিকে এলাকার প্রধান দিলীপ রায় জানান, গতকালের ঘটনার সঙ্গে তৃনমূলের কেউ জড়িত নয়। সিপিএমের লোকেরা বাজারে ঝান্ডা লাগাতে এসেছিল। ওদের নিজেদের মধ্যে মারামারি হয়। এরা দিনে তৃণমূল রাতে সিপিএম, বিজেপি। দলকে বলবো, দল তদন্ত করুক এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। এদিকে জানা গেছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তৃনমূলের মাদার গোষ্ঠীর সমর মালিক, শেখ মন্টু, দেবদাস মালিক, তপন মালিক, শেখ রফিক, শেখ ইসরাইল, অসিত মালিক, রাজু মালিক, বিদ্যুৎ মালিক সহ আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।