Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা। আজ পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় ৮০০কোটির টিকি ছুঁয়েছে। ভাবতে পারছেন, কী ভয়ানক হতে পারে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের আগামী দিনযাপন। মানুষের সংখ্যা তো দ্রুত বাড়ছে, সমানুপাতিক ভাবে চাহিদাও বাড়বে! কিন্তু ভাবনার বিষয় হল, সেই চাহিদা অনুযায়ী কি উৎপাদন হচ্ছে; দ্রব‍্য সামগ্রিক কি মজুত আছে? বিষয়টি যদি গভীরভাবে ভাবেন, তাহলে সকলেরই কপালে হয়তো ঘাম জমে যাবে।

  এখন 'জাতিপুঞ্জের'(UNO) 'জাতিসংঘ     উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনা পরিষদ' ১৯৮৯সালের ১১ই জুলাই থেকে প্রতিবছর ১১ই জুলাই বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে চলেছে। সচেতনতার মধ্যে থাকে পরিবার পরিকল্পনা, লৈঙ্গিক সমতা, দারিদ্রতা, মাতৃস্বাস্থ্য, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয় গুলি। বিশ্বব্যাংকের 'বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন, ২০২১' অনুযায়ী ২০২১ সালের শেষে বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৭৮৭ কোটি ৫০ লক্ষ। এই মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকলে অনুমান সাপেক্ষ যে, ২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ৯৭০ কোটি এবং ২১০০ সালে গিয়ে ১০৯০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াতে পারে! এটিও অনুমান সাপেক্ষ যে, ২০২৭ সাল নাগাদ ভারত, চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

আজ ১১ই জুলাই ২০২২, ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে। এই বছরের থিম হল, ‘৮ বিলিয়নের বিশ্ব; সকলের জন্য একটি স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যৎ’। জাতিসংঘ কর্তৃক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। কিন্তু প্রশ্ন হল যে, আমরা যারা দেশের নাগরিক তথা বিশ্ব পরিবারের এক একজন সদস্যরা, আমরা কি রাষ্ট্রের সাথে সমান ভাবে সহযোগিতা করছি? আমরা কি পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে ভাবছি? আমরা কি সকলের সমান অধিকার নিয়ে ভাবছি? তাহলে কেন এতো হিংসা বৈষম্য নিয়ে? কেন এতো জনবিস্ফোরণ? আমাদের সকলের ভাবার দরকার আছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.