Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

আরামবাগ পৌরসভায় স্বপন নন্দীর জমানা পাল্টে সমীর ভান্ডারির জমানা শুরু হয়েছে। স্বপন নন্দীর মতোই সমীর ভান্ডারীও আরামবাগ পৌরসভাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।স্বপন নন্দী দ্বিতীয় বারের জন্য পৌর প্রধান হয়েই ৩০ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তার অর্ধেকও পুরন করেননি। বিশাল পোস্টার বানিয়ে পৌরসভা জুড়ে তাঁর সময়ের উন্নয়নের যে তালিকা ছড়িয়ে ছিলেন তার সিংহভাগই বাম আমলে পৌর প্রধান গোপাল কচের মস্তিস্ক প্রসুত। বরং হেলিপ্যাড তৈরি করার সময় স্বপন নন্দী বহুবার ঘোষণা করে ছিলেন, মানুষের কলকাতার সাথে কম সময়ে, কম খরচে সহজেই যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এই হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে। তিনি মঞ্চে মঞ্চে এও বলে ছিলেন শিঘ্রই হেলিকপ্টার চালু হয়ে যাবে, কলকাতায় যাওয়ার জন্য মাত্র হাজার তিনেক টাকা ব্যয় হতে পারে। না, অচিরেই মানুষের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো। এরকম অনেক প্রতিশ্রুতিই তিনি হাসতে হাসতে দিয়ে দিতেন, সম্ভবত তাঁর ধারণা জন্মে ছিলো, আরামবাগ পৌরবাসীদের নিয়ে এমন মসকরা করাই যায়। বর্তমানে যিনি পৌর প্রধান সমীর ভান্ডারী তিনিও সেই বোর্ডে ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। কেন তিনি বা তাঁদের বাকি কাউন্সিলররা স্বপন নন্দীর এসব গালভরা প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না দেখেও প্রতিবাদ করতেন না তা লাখ টাকার প্রশ্ন, অতিতও বটে। এখন সমীর ভান্ডারী পৌর প্রধান। তিনি পৌরসভার ফেসবুক পেজ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, মিডিয়া গ্রুপ তৈরি করেছেন, সাফাই বিভাগের, বিদ্যুৎ বিভাগের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছেন ও আরো অনেক কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে দ্রুত এলাকার সমস্যা ও তার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া যায়। এছাড়াও তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন ও করছেন। খুব শীঘ্রই “দুয়ারে পৌরসভা” চালুও হবে। এসবই অত্যন্ত সাধুবাদ যোগ্য। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এসবই আবেগ নয় তো! অতিত অভিজ্ঞতা যেহেতু এলাকাবাসীদের ভালো নয় তাই সবার প্রত্যাশা, কথার সাথে কাজও সমান তালে প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধিদের মানুষ মনে রাখেন কাজের নিরিখে। এখন দেখার বিষয়, পৌর প্রধান হিসেবে সমীর ভান্ডারী পাঁচ বছর পর্যন্ত তাঁর এই উদ্দেশ্যকে উদ্দীপনার সাথে সার্থক করতে টিকিয়ে রাখতে পারেন কিনা

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.